

চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফেরা মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দলে ভেড়াতে আগ্রহী দলগুলো। গতকাল পর্যন্ত জেমকন খুলনা ও ফরচুন বরিশাল এই দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও এবার যোগ দিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীও। ইতোমধ্যে মাশরাফিকে চেয়ে বোর্ডে করেছে আবেদনও। ৮ ডিসেম্বরের ম্যাচ থেকেই মাশরাফিকে দলে পাওয়ার আশায় সাজানো হচ্ছে পরিকল্পনাও।
নিয়মানুসারে একের অধিক দল মাশরাফিকে পেতে আগ্রহী হলে ভাগ্য নির্ধারণ হবে লটারিতে এমনটাই জানিয়েছিলেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। আর সেভাবেই চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে মাশরাফির ঠিকানা, দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ এই পেসারকে অবশ্য ফিটনেস টেস্টে পাশ করেই অনুমতি নিতে হবে বোর্ডের।
মাশরাফিকে দলে পাওয়ার সব প্রক্রিয়া মেনে ভাগ্যের দিকে তাকিয়ে দলগুলো। প্রথম দুই ম্যাচে জয় পাওয়া মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী হেরেছে পরের তিন ম্যাচে। এখনো পর্যন্ত খেলতে পারেনি চোটে পড়া দলের অন্যতম ভরসা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। যে কারণে শেষ ম্যাচগুলোতে সাইফউদ্দিন, মাশরাফিকে এক সাথে পেতে মুখিয়ে দলটি।
আজ (৫ ডিসেম্বর) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর ম্যানেজার হান্নান সরকার বলেন, ‘মাশরাফি যখন খেলবে তখন যে কোন দলের জন্যই একটা বিশাল সুযোগ তাকে ব্যবহার করা বা খেলানোর। আমাদের টিম কম্বিনেশনে সাইফউদ্দিনকে ঘিরে যে প্ল্যান সাজিয়েছি সেখানে বড় একটা ধাক্কা খাওয়ার পরে সাইফউদ্দিনকে আশা করি পেতে যাচ্ছি। এখন সাথে যদি মাশরাফি হয় দলের শক্তি অনেক বেড়ে যাবে।’
‘আপনারা দেখেছেন যে বোলিংয়ে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোয় কিছুটা সংগ্রাম করছি। সে ক্ষেত্রে সাইফউদ্দিন, মাশরাফি দুজনকে এক সাথে খেলাতে পারলে আমাদের জন্য বিশাল একটা পাওয়া হবে। আর পরের তিন ম্যাচে আমার মনে হয় জেতার জন্য বোলিং ভূমিকাটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তো স্বাভাবিকভাবে মাশরাফিকে আমরা চাচ্ছি।’
‘আগেও বলেছি সময় যখন হবে তখন আমরা সিদ্ধান্তটা জানাবো। এখন আমরা এমন একটা অবস্থানে এসেছি যে মাশরাফিও তার সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে বা বোর্ডও আমাদের মেডিকেল টিমের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা জানাবে। সেটার পরই আমরা আসলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে মাশরাফির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারি।’
এদিকে ভাগ্যের বদলৌতে মাশরাফিকে যদি পেয়েই যায় রাজশাহী সেক্ষেত্রে অধিনায়কত্বের ভারও কি তাকে দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নে হান্নান সরকার জানান মাশরাফির সাথে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নিবেন তারা। তবে অধিনায়ক ইস্যুতে মাশরাফি পাবেন অগ্রাধিকার।
হান্নান সরকার বলেন, ‘সত্যি বলতে এই বিষয়টি এখনো এভাবে চিন্তা করিনি। কারণ একটা বিশাল বিষয় হচ্ছে মাশরাফি কি চাচ্ছে? মাশরাফি এমন একজন প্লেয়ার বা অধিনায়ক তার সাথে আলোচনা না করে আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবনা। এখানে মাশরাফির মতামতই প্রাধান্য পাবে। ও আমাদের দলে আসলে প্রথম আলোচনাটাই হবে তুমি কি অধিনায়কত্ব করতে চাও?’
টুর্নামেন্টের অর্ধেকের বেশি সময় পার হয়েছে, দলে পেলে কবে থেকে মাশরাফিকে খেলানোর পরিকল্পনা রাজশাহীর জানাতে গিয়ে হান্নান সরকার যোগ করেন, ‘এখনো বোর্ড থেকে নির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি মাশরাফিকে পাওয়ার ব্যাপারে। আমরা যেটা করেছি তাকে দলে পেতে প্রক্রিয়া শুরু করেছি, বোর্ডে আবেদন করেছি। বাকিটা সময়ের সাথে সাথে বোর্ডের মাধ্যমে জানতে পারবো।’
‘আগামীকাল ৬ তারিখ আমাদের ৬ নম্বর ম্যাচ। এরপরে আরও দুইটা ম্যাচ আছে রাউন্ড লিগের। ৮ তারিখে যেহেতু ৭ নম্বর ম্যাচ হবে, সেক্ষেত্রে কালকের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত পেলেও ভালো হয়। গ্রুপ পর্বে দুইটা ম্যাচ খেললে তার জন্য ও দলের জন্য প্লে-অফে খেলা সুবিধাজনক হবে। আমরা ৮ তারিখকে মাথায় রেখেই এগোচ্ছি। আসলে আমরা মনেপ্রাণে চাচ্ছি মাশরাফিকে যে ৮ তারিখের ম্যাচে পাই।’