

টানা তিন হারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বেক্সিমকো ঢাকা তুলে নিল টানা দ্বিতীয় জয়। ভারসাম্যপূর্ণ দল হলেও দল হিসেবে জ্বলে উঠতে না পারার আক্ষেপ ছিল কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের কণ্ঠে। ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ না করে বরং আস্থা রেখেছিলেন। শুক্রবার মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ২৫ রানের জয়ে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন ফরম্যাটেই দাপট দেখিয়েছে মুশফিকুর রহিমের ঢাকা।
ইয়াসির আলি রাব্বির ৬৩ ও আকবর আলির অপরাজিত ৪৫ রানে চড়ে বেক্সিমকো ঢাকা পায় ৫ উইকেটে ১৭৫ রানের পুঁজি। জবাবে ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৫৮ রানের সাথে রনি তালুকদারের ৪০ রানের পরও বাকিদের ব্যর্থতায় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে থামতে হয় ১৫০ রানে।
১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ব্যর্থ হয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর উদ্বোধনী জুটি। দুই ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন (৬), নাজমুল হোসেন শান্তের (৫) সাথে ব্যর্থ মোহাম্মদ আশরাফুলও (১)। তাদের বিদায়ে ১৫ রানেই তিন উইকেট হারায় মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। তবে ব্যাট হাতে দলের পক্ষে লড়াইটা করেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও রনি তালুকদার।
তাদের ৬৭ রানের জুটিতে জয়ের আশা জাগে রাজশাহীর। কিন্তু ২৪ বলে ৪০ রান করা রনির বিদায়ের পর আবারও খেই হারায় নাজমুল হোসেন শান্তের নেতৃত্বাধীন দলটি। এক প্রান্তে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখেন ফজলে রাব্বি। মুক্তার আলির বলে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ধরা পড়ার আগে ৪০ বলে করেন ৫৮ রান। ১১৭ রানে ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার বিদায়ের পর রাজশাহী যেতে পেরেছে ১৫০ রান পর্যন্ত।
শেষদিকে ফরহাদ রেজার ৪ বলে ১৪ ও নুরুল হাসান সোহানের ১১ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মুক্তার আলি। তিনটি নেন বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম।
আগের চার ম্যাচে বাজে ব্যাটিং প্রদর্শন করা বেক্সিমকো ঢাকা এদিনও শুরুটা করেছিল হতাশার ইঙ্গিত দিয়ে। ৬৪ রানেই হারায় ৪ উইকেট, তবে একপাশ আগলে রেখে মুশফিকুর রহিম মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার রাস্তাটা তৈরি করে দেন। আর সেই ভীতের উপর দাঁড়িয়ে ইয়াসির আলি রাব্বি তুলে নেন ফিফটি, ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন আকবর আলি।
চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে ২৯ বলে ৩৭ রান। এরপরের গল্পটা রাব্বি-আকবরের, দুজনে ৫৪ বলে ঝড়ো গতিতে জুটিতে যোগ করেন ১০০ রান। যেখানে সামনে থেকে পথ দেখিয়েছেন রাব্বি, খেলেছেন ৯ চার ১ ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস।
কম যাননি আকবরও, যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ৩ চার ২ ছক্কায় ৪৫ রানে। শেষ পর্যন্ত ঢাকা থামে ৫ উইকেটে ১৭৫ রানে। যা চলতি টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।