

জয় দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ২য় স্থানে থেকে মুম্বাইয়ের সাথে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করলো দিল্লি ক্যাপিটালস। অন্যদিকে হেরেও ৩য় অবস্থানে থেকে প্লে অফ নিশ্চিত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। প্লে অফের চতুর্থ দল নির্ধারিত হবে মুম্বাই-হায়দ্রাবাদ ম্যাচে। মুম্বাই জিতলে প্লে অফে উঠবে কোলকাতা, হায়দ্রাবাদ উঠবে মুম্বাইকে হারাতে পারলেই।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (আরসিবি) হয়ে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামেন জশ ফিলিপ এবং দেবদূত পাডিকাল।
২৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে জশ ফিলিপের অবদান ছিল ১২ রান। ইনিংসের ৫ম ওভারে দিল্লির কাগিসো রাবাদা তার প্রথম ডেলিভারিতে ফিলিপকে সাজঘরের পথ দেখান। ইনফর্ম পাডিকাল এরপর অধিনায়ক ভিরাট কোহলির সাথে ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলের ভিত্তি মজবুত করেন।
২৯ রান করে কোহলি আউট হয়ে গেলেও ঠিকই অর্ধশত রান পূর্ণ করেন পাডিকাল। অবশ্য পঞ্চাশের পরই আনরিখ নরকিয়ার বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন। শেষের দিকে এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং শিভাম দুবের প্রচেষ্টায় আরসিবির রান দেড়শো পার হয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে আরসিবি। ডি ভিলিয়ার্স মাত্র ২১ বলে ৩৫ রান করেন। দিল্লির পক্ষে নরকিয়া ৩টি এবং রাবাদা ২টি উইকেট নেন।
১৫৩ রানের টার্গেটে দিল্লি ক্যাপিটালস ২য় ওভারে ওপেনার পৃথ্বী শকে হারিয়ে বসে। আরসিবির মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯ রান করেন পৃথ্বী। এরপর অপর ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং তিনে নামা আজিঙ্কা রাহানে ম্যাচজয়ী জুটি গড়ে তোলেন। ২য় উইকেটে তারা ৮৮ রানের জুটি গড়েন। দুইজনই দুর্দান্ত ব্যাটিং করে হাফ সেঞ্চুরি আদায় করে নেন।
ধাওয়ান ৫৪ রান করে অভিষিক্ত শাহবাজ আহমেদের বলে আউট হয়ে যান। অধিনায়ক শ্রেয়াস ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। মাত্র ৭ রান করে বিদায় নেন। ১৮ তম ওভারে রাহানে দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান করে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে দিল্লি। তবে এরপর রিশাব পান্ট ও মার্কাস স্টয়নিস আর কোন বিপদ ঘটতে দেননি। আরসিবির উইকেটরক্ষক ফিলিপের মাথার উপর দিয়ে চার মেরে ৬ উইকেট এবং ৬ বল হাতে রেখে দিল্লিকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন পান্ট। আরসিবির পক্ষে শাহবাজ আহমেদ ২টি উইকেট নেন।
অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরা হন দিল্লি ক্যাপিটালসের আনরিখ নরকিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরঃ ১৫২/৭ (২০ ওভার), পাডিকাল ৫০, ডি ভিলিয়ার্স ৩৫, কোহলি ২৯; নরকিয়া ৩/৩৩, রাবাদা ২/৩০
দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৫৪/৪ (১৯ ওভার), রাহানে ৬০, ধাওয়ান ৫৪, স্টয়নিস ১০*; শাহবাজ ২/২৬, সুন্দর ১/২৪
ফলাফলঃ দিল্লি ক্যাপিটালস ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ আনরিখ নরকিয়া (দিল্লি ক্যাপিটালস)।