

যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী ইনিংসের পর আকবর আলির ব্যাট কথা বলছিলনা খুব একটা। তবে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। তার সেঞ্চুরির সাথে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের আরও দুই সদস্য শাহাদাত হোসেন দিপুর ৯৪ ও শামীম পাটোয়ারীর ঝড়ো ৬৭ রানে ভর করে প্রথম দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেটে ৪০৬ রান তোলে টিম ‘এ’।
নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে চলমান এই প্রস্তুতি ম্যাচে নাইম শেখের টিম ‘বি’ এর বিপক্ষে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফিফ হোসেন ধ্রুবর নেতৃত্বাধীন টিম ‘এ’। শুরু থেকেই ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু। দুজনের ৫৫ রানের জুটি ভাঙে পেসার রেজাউর রহমান রাজার বলে লেগ বিফোর হয়ে তামিম ৩৫ রান করে ফিরে গেলে।
তামিমের বিদায়ের পর ৬২ রানের জুটিতে হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দিপু। তবে দারুণ কিছু চোখ ধাঁধানো শটে ৩০ রান করা জয় ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বলে ফিরে যাওয়ায়। রেজাউর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক আফিফও (১২)।
১৩২ রানে ৩ উইকেট হারানো টিম ‘এ’ কে শক্ত ভীত দেন আকবর আলি ও শাহাদাত হোসেন দিপু। চতুর্থ উইকেটে তাদের ১৩৭ রানের জুটির পথে দুজনেই সমান তালে রান করেছেন। দুজনেই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে, তবে দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে নোমান চৌধুরী সাগরের লাফিয়ে ওঠা বলে ৯৪ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে আক্ষেপে পুড়তে হয় দিপুকে। ১৬২ বলে ১৪ চারে ইনিংসটি সাজান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দিপু মিস করলেও ঠিকই সেঞ্চুরির দেখা পান আকবর আলি। শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ বিকেলে ব্যাট উঁচিয়ে সতীর্থ ও উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিবাদনের জবাব দেন আকবর। ১৩৭ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো উইকেট রক্ষক এই ব্যাটসম্যান থেমেছেন ১৬১ বলে ২০ চার ২ ছক্কায় ১৩৬ রানে। তবে তাকে এক পাশে রেখে ঝড়ো ইনিংসে শেষের সবটুকু আলো কেড়ে নেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
আকবরের সাথে ১২০ রানের জুটিতে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৬ বলে ৬৭ রান। উইকেটের চারপাশে সবধরণের শট খেলে বাউন্ডারি থেকেই নেন ৫০ রান। হাঁকিয়েছেন ৮ চার তিন ছক্কা। চার রানের ব্যবধানে পেসার শাহীন আলমের বলে ফিরে যান আকবর-শামীম দুজনেই।
তাদের বিদায়ের পর ৮০ ওভারে ৭ উইকেটে ৪০৬ রান তুলে দিন শেষ করে টিম ‘এ’। ২ রানে রাকিবুল হাসান ও ১ রানে অপরাজিত আছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। টিম ‘বি’ এর হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট শিকার রেজাউর রহমান, শাহীন আলম ও শরিফুল ইসলামের, একটি উইকেট নেন নোমান চৌধুরী সাগর।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ প্রথম দিন শেষে-
টিম ‘এ’ ৪০৬/৭ (৮০ ওভার), তামিম ৩৫, দিপু ৯৪, জয় ৩০, আফিফ ১২, আকবর ১৩৬, শামীম ৬৭, সুমন ৯, রাকিবুল ২*, মুগ্ধ ১*; শরিফুল ২০-২-১০২-২, রেজাউর ১৩-১-৬৩-২, তানভীর ১৫-১-৮২-০, নোমান ৮-১-৫–১, শাহীন ১৫-১-৭১-২, রিশাদ ৮-১-৩৬-০।