

টানা তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হতাশ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মারকুটে ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। শারজাহতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর এখন তাদের কোয়ালিফায়ারে যাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে, যা শেষ ম্যাচে জয়ের উপর নির্ভর করছে।
সোমবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জয়ের উপর নির্ভর করছে ব্যাঙ্গালোরের কোয়ালিফায়ার ভাগ্য।
‘পরপর তিন ম্যাচে হেরে যাওয়াটা খুবই হতাশার, যা আপনিও চান না,’ ডি ভিলিয়ার্স বলেন। ‘অবশ্য এসব টুর্নামেন্টে এমন হওয়াটা স্বাভাবিক। আপনি যেমন টানা তিন ম্যাচ হারতেও পারেন, আবার টানা তিন ম্যাচ জিততেও পারেন। দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে জয় পেতে চাই। যদি আমরা করতে পারি, তবে আমাদের জন্যই ভালো।’
সানরাইজার্সের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) পাওয়ারপ্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে নাত্র ৩০ রান করে, যা এবারের আইপিএলে পাওয়ারপ্লেতে সর্বনিম্ন রান। তরুণ জশ ফিলিপের সাথে দলের হাল ধরতে ডি ভিলিয়ার্স চার নাম্বারে খেলতে আসেন। ১১তম ওভারে ছক্কা হাঁকানোর পর ডিপ কাভারে অভিষেক শর্মার হাতে ধরা পড়েন ডি ভিলিয়ার্স।
পরের ওভারে রাশিদ খানের বলে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন এবং আরসিবি ৭৬/৪ এ পরিণত হয়। ‘এখানে ২০-৩০ রান কম হয়ে যায় আমাদের,’ ডি ভিলিয়ার্স বলেন। ‘দিনশেষে আমাদের জন্য স্কোর যথেষ্ট ছিল না। ২য় ইনিংসে পিচ কিছুটা আর্দ্র ছিল। অন্তত ১৪০ রান করতে পারলে আমরা ভালভাবে মোকাবেলা করতে পারতাম।’
‘হ্যা, একসময় আমরা ভাবছিলাম ১৬০ রান করবো। কিন্তু পিচের অবস্থা অনুযায়ী তা অনেক কঠিন ছিল। তাই আমাদের কাছে ১৪০ রান ভাল স্কোর মনে হচ্ছিল। তারা অসাধারণ বোলিং করেছে। অবশ্যই তারা প্রশংসার দাবিদার। পাওয়ারপ্লেতে তাদের সিমাররা বেশি ভালো করেছে। তারা কোন ভুল করেনি। পাওয়ারপ্লের পরে রাশিদও দারুণ বোলিং করে। আমাদের উপর তারা অনেক চাপ প্রয়োগ করে সফল হয়েছে।’
‘শারজাহর উইকেট অনেক ধীরগতির ছিল, আউটফিল্ডও ধীরগতির ছিল। যেখানে চার হওয়ার কথা, সেখানে ১-২ রান হচ্ছিল। এখানেও আমাদের সমস্যা হয়েছে। তারা বেসিক অনুযায়ী বোলিং করেছে, ভালো লেংথ বজায় রেখেছে। একইসাথে তার দারুণ ফিল্ডিং করেছে।’