

আগামীকাল (১ নভেম্বর) পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন আলিম দার। ২১০ তম ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনার মধ্য দিয়ে পেছনে ফেলবেন রুডি কোয়ের্টজেনের সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ডকে।
৫২ বছর বয়সী আলিম দার রাওয়ালপিন্ডিতে আগামীকাল ২১০ তম ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনার মাধ্যমে কীর্তিটি ঘরের মাঠেই অর্জন করবেন। টেস্টে ইতোমধ্যে রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন ৩৮৭ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করা আলিম দার।
১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে প্রথম শ্রেণিতে অভিষেক হওয়া আলিম দার ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার টেনে নেন। এরপর আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০০ সালে গুজরানওয়ালায় পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে।
২০০৩ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয় টেস্ট আম্পায়ারিংয়ের। ইতোমধ্যে ১৩২ টি টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আলিম দার, যা সর্বোচ্চ টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ড। ২০৯ ওয়ানডে, ১৩২ টেস্টের পাশাপাশি ৪৬ টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও দায়িত্ব পালন করেন পাকিস্তানি এই আম্পায়ার।
গতবছর তিনি তার আদর্শ স্টিভ বাকনরকে (১৩২ টেস্ট) পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ড গড়েন। টেস্টের পর আগামীকাল পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতেও শীর্ষে উঠে যাবেন আলিম দার। যেখানে টি-টোয়েন্টিতেও লড়াইটা স্বদেশী আহসান রাজার সাথে। রাজার ৪৯ ম্যাচের বিপরীতে আলিম দারের ৪৬ ম্যাচ। ফলে এই রেকর্ডটিও এক সময় আলিম দারের দখলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আলিম দার বলেন, ‘আম্পায়ার হিসেবে টেস্ট ও ওয়ানডে দুই জায়গাতেই শীর্ষে থাকাটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। যখন আমি এই পেশায় আসি আমি ভাবতে পারিনি এত দূর চলে আসবো। আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি আমি মাঠের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করি এবং এখনো শেখার মধ্যে আছি।’
আইসিসির আম্পায়ার ও রেফারিদের সিনিয়র ম্যানেজার অ্যাড্রিয়ান গ্রিফিথ বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আলিম সামঞ্জস্যপূর্ণ আম্পায়ার ছিলে আর এর প্রতিফলন পড়ছে তার ১৬ বছর ধরে এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়ার মাধ্যমে।’
‘মাইলফলকটির জন্য তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আসন্ন ম্যাচ অ সিরিজগুলোর জন্য আমরা তাকে শুভকামনা জানাই। আমরা নিশ্চিত যে অনেকেই তার দিকে তাকিয়ে আছেন এবং পরবর্তী প্রজন্মকে সে বেশ অনুপ্রাণিত করবে।’