

২০১৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে ১০৪ বলের ব্যবধানে ৭ বার আউট করা ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড নিজেকে ভাগ্যবান বলছেন।
পেশাদার ক্রিকেটারদের ‘ট্রাস্টকে’ সমর্থন দিতে ক্রিকেট বিশ্লেষক সাইমন হিউজের বিশ্লেষকদের ভার্চুয়াল ক্রিকেট ক্লাবে কথা বলতে গিয়ে ৩৪ বছর বয়সী ব্রড জানান সিরিজের সময় ও কন্ডিশন যথাযথ ছিল বলেই এমন সাফল্য পেয়েছেন।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে ব্রড বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান ছিলাম, ওটা ছিল একদম নতুন বলে ইংলিশ কন্ডিশনে গ্রীষ্মে বল করার জন্য যথাযথ। পিচগুলো বেশ শুকনো ছিল, হয়তো বিশ্বকাপের কারণে।’
‘আমিও সতেজ ছিলাম। আমি উত্তেজিত ছিলাম কারণ ঐ গ্রীষ্মে আমার প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছিল সিরিজটি। যারা বিশ্বকাপে খেলেছে তাদের জন্য গল্পটা হয়তো ভিন্ন ছিল।’ যোগ করেন ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার।
২০১৯ অ্যাশেজে ওয়ার্নারের সংগ্রাম করার দৃশ্য মনে থাকার কথা ক্রিকেট ভক্তদের। ১০ ইনিংসে করতে পেরেছেন সাকূল্যে ৯৫ রান। ১০ বারই আউট হয়েছেন, যেখানে ৭ বার ব্রডের শিকার।
বিশ্বকাপ না খেলায় ফাঁকা সময়টায় বেশ ভাবনা চিন্তার সময় পেয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। সেটিই কাজে লেগেছে অ্যাশেজে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৫১৪ টেস্ট উইকেটের মালিক বলেন, ‘বিশ্বকাপ চলাকালীন গবেষণার জন্য আমি প্রচুর সময় পেয়েছি। ওয়ার্নারকে বল করা আমার জন্য সবসময়ই কঠিন ছিল। বিশেষ করে তৃতীয় ইনিংসে যখন আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন, শর্টার ও ওয়াইড লেন্থের বলকে সাজা দিতে সে বেশ পারদর্শী ছিল।’
‘আমার সব মনযোগ ছিল স্টাম্পে আঘাত করা। আর এভাবে তাকে আমি দুইবার ফিরিয়েছি। এরপর সে দ্বিধায় পড়েছে যে আমাকে খেলবে নাকি ছেড়ে দিবে। কারণ বল স্টাম্পের আশেপাশে বদ্ধ হচ্ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্ট ইংল্যান্ড ১৩৫ রানে জিতেছিল যা সিরিজকে ২-২ সমতায় আনে। তবে ২০১৭-১৮ অ্যাশেজ জয়ের কারণে ২০১৯ অ্যাশেজের ট্রফিও অস্ট্রেলিয়ানদের ঘরে যায়। যা ৪৭ বছরের মধ্যে প্রথমবার অ্যাশেজ ড্র হওয়ার ঘটনা। এর আগে ১৯৭২ সালে অ্যাশেজ সিরিজ ড্র হয়েছিল।