
আগামী মাসে মাঠে গড়াবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ। সদ্য সমাপ্ত তিন দলীয় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্টে ক্রিকেটারদের কোন ফিটনেস টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি। তবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ফিটনেস টেস্টে উতরে তবেই নির্বাচিত হতে হবে।
নভেম্বর-ডিসেম্বর সময়কালে মাঠে গড়াতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশ নিবে পাঁচটি দল। যা সামনে রেখে ইতোমধ্যে খেলোয়াড় নির্বচনের কাজ শুরু করেছে নির্বাচকরা। প্লেয়ার ড্রাফট হোক কিংবা বিসিবির তৈরি করে দেওয়া দল হোক প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই ফিটনেস টেস্ট বাধ্যতামূলক।
এই ফিটনেসে অংশ নিবে জাতীয় দল, হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। যদিও গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এইচপি ক্যাম্পের ক্রিকেটাররা এক দফা ফিটনেস টেস্টের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। তাদের ফিটনেস টেস্টের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়।
বিসিবির দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আগে ফিটনেস টেস্ট বাধ্যতামূলক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘লকডাউনের সময়টাতে জাতীয় দল, এইচপি ও অনূর্ধ্ব -১৯ দলের খেলোয়াড়দের আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে বেশ উৎসাহী করেছি। আর তারা যে প্রচেষ্টা দেখিয়েছে তা তাদেরকে দলবদ্ধ অনুশীলন ও ম্যাচ শুরুতে বেশ সাহায্য করেছে।’
‘আশা করি আমাদের সেটাপের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও ব্যক্তিগত ফিটনেস অনুশীলনে একই রকম প্রতিশ্রুতি দেখাবে এবং ফিটনেস টেস্টের জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তুত হবে।’ যোগ করেন নান্নু।
এখনো অবশ্য চূড়ান্ত হয়নি ফিটনেস টেস্টের সময় সূচি। টুর্নামেন্ট সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় সামনে এগোনোর সাথে সাথে ক্রিকেটার নির্বাচন ও দল গঠনের কার্যক্রমও চূড়ান্ত হবে। আসন্ন টুর্নামেন্ট সামনে রেখে ক্রিকেটারদের বিপ টেস্টের পরিবর্তে ‘ইয়ো ইয়ো’ টেস্টের মাধ্যমে ফিটনেস মানদন্ড বিবেচনা করতে পারে বিসিবি। সর্বশেষ এইচপি ক্যাম্পেও প্রথমবারের মত দেশের ক্রিকেটে ‘ইয়ো ইয়ো’ টেস্ট প্রয়োগ হয়।