

ওয়ানডে অধিনায়কত্বের অভিষেকে জয় পেয়েছেন বাবর আজম। সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হারাতে অবশ্য ঘাম ঝরাতে হয়েছে স্বাগতিকদের। টেইলরের সেঞ্চুরি ও মাধেব্রের ফিফটির পর শেষে খেই হারিয়ে হেরেছে জিম্বাবুয়ে।
২৮২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি জিম্বাবুয়ের। ইনিংসের প্রথম ওভারের ৩য় বলে ব্রায়ান চারি বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ৩ বলে ২ রান করা চারিকে ফেরান শাহীন শাহ আফ্রিদি।
নিজের করা তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে অধিনায়ক চামু চিবাবাকে বোল্ড করেন শাহীন শাহ। ২৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জিম্বাবুয়ের ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন তিনে নামা ক্রেইগ আরভিন ও চারে নামা ব্রেন্ডন টেইলর। ৬৮ বলে ৬ চারে ৪১ রান করে আরভিন আউট হলে ভাঙে ৭১ রানের জুটি। পাঁচে নেমে শন উইলিয়ামস সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ৪ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের বলে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে।
১১৫ রানে ৪র্থ উইকেট পতন হবার পর ওয়েসলি মাধেব্রেকে নিয়ে ১১৯ রানের জুটি গড়েন টেইলর। দর্শনীয় কিছু শট খেলা মাধেব্রে ৬১ বলে ৭ চারে ৫৫ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এই জুটি যতক্ষণ অবিচ্ছেদ্য ছিল ততক্ষণ জয়ের পথে ভালভাবেই ছিল জিম্বাবুয়ে।
তবে মাধেব্রে আউট হবার পরেই খেই হারিয়ে বসে সফরকারীরা। বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে তারা করতে পারে কেবল ২১ রান! বৃথা যায় ব্রেন্ডন টেইলরের ১১ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ১১৭ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১১২ রান করেন টেইলর। জিম্বাবুয়ে ম্যাচ হারে ২৬ রানে।
টেইলরের উইকেট সহ ম্যাচে ৫ উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি, ৪ উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ। বাকি থাকা উইকেটটি যায় ইমাদ ওয়াসিমের ঝুলিতে।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান দলপতি বাবর আজম, ওয়ানডে ফরম্যাটে বাবরের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ৫০ ওভারি ক্রিকেটে অভিষেক হয় পেসার হারিস রউফের।
ইমাম উল হকের সঙ্গে এদিন ওপেন করতে নামেন আবিদ আলি। ১১ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। ৩০ বলে ৫ চারে ২১ রান করে চার্ল মুম্বার বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাদে পড়েন আবিদ। তিনে নেমে ভাল শুরুর আভাস দিলেও ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি বাবর আজম। ১৮ বলে ৩ চারে ১৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে উইকেটের পেছনে ব্রেন্ডন টেইলরকে ক্যাচ দেন তিনি।
ফিফটি পূর্ণ করে বড় স্কোর গড়ার পথে থাকা ইমাম উল হক সাজঘরে ফেরেন হাস্যকর রান আউটে কাটা পড়ে। ৭৫ বলে ৬ চারে ৫৮ রান করেন ইমাম। চারে নামা হারিস সোহেল আউট হবার আগে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৭১ রান। ৮২ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান হারিস। এর আগে অবশ্য চিসোরোর জোড়া শিকার হন মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৪) ও ইফতিখার আহমেদ (১২)।
শেষদিকে ফাহিম আশরাফ ও ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাটে মোটামুটি শক্ত পুঁজি পায় পাকিস্তান। ১৬ বলে ২৩ করে ফাহিম আউট হলেও ২৬ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ইমাদ। ৮ উইকেটে ২৮১ রান করে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২ টি করে উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি ও টেন্ডাই চাতারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ২৮১/৮ (৫০), ইমাম ৫৮, আবিদ ২১, বাবর ১৯, হারিস ৭১, রিজওয়ান ১৪, ইফতিখার ১২, ফাহিম ২৩, ইমাদ ৩৪*, ওয়াহাব ৮, শাহীন শাহ ৮*;মুজারাবানি ৯-০-৩৯-২, মুম্বা ৮-০-৬৯-১, রাজা ৯-০-৪৫-১, চিসোরো ৫-০-৩১-২।
জিম্বাবুয়ে ২৫৫/১০ (৪৯.৪), চারি ২, চিবাবা ১৩, আরভিন ৪১, টেইলর ১১২, উইলিয়ামস ৪, মাধেব্রে ৫৫, রাজা ৮, চিসোরো ৫, মুম্বা ১, গারাভা ০*, মুজারাবানি ৫; আফ্রিদি ১০-০-৪৯-৫, ওয়াহাব ৯.৪-০-৪১-৪, ইমাদ ১০-০-৪৯-১।
ফলাফলঃ পাকিস্তান ২৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ ব্রেন্ডন টেইলর (জিম্বাবুয়ে)।