ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে অভ্যস্ত করতে চান এইচপি কোচ

ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে অভ্যস্ত করতে চান এইচপি কোচ
Vinkmag ad

হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটকে বলা হয় জাতীয় দলের পাইপলাইন। যেখানে তরুণ ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে ঢোকার আগেই নিজেদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এইচপির চলমান স্কিল ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন নতুন কোচ টবি রেডফোর্ড। এই ইংলিশম্যান জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে খেলায় অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।

বাংলাদেশে এসে প্রথমবার গণমাধ্যমের সাথে আলাপে টবি রেডফোর্ড জানান এশিয়ার বাইরে গিয়ে খেলানোটাই সবচেয়ে জরুরী এইচপির তরুণ ক্রিকেটারদের। এইচপি ক্রিকেটারদের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির) দেওয়া সুযোগ সুবিধায় অবশ্য বেশ মুগ্ধ হয়েছেন এর আগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করা এই কোচ।

আজ (২৯ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টবি রেডফোর্ড ক্রিকেটারদের এশিয়ার বাইরে খেলানো প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি এই ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যায় তবে এক পর্যায়ে লর্ডসে তাদের মুখোমুখি হতে হবে জিমি অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ক্রিস ওকসের। তার আগেই তাদের ওখানে নেওয়া দরকার এবং অমন পেস ও সুইং বান্ধব উইকেটে অভ্যস্ত করতে হবে। এটা কঠিন, তবে একমাত্র উপায় অনুশীলন।’

‘খেলোয়াড়দের আমি প্রথমদিনই বলেছি, আমরা জানি বাংলাদেশ বাংলাদেশের মাটিতে অনেক শক্তিশালী দল। তারা জানে নিজেদের কন্ডিশনে তাদের কীভাবে খেলতে হয়। এইচপির কোচ হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব খুঁজে পেয়েছি সেটা হল ক্রিকেটার তৈরি করা যারা টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাবে এবং বিশ্বের যেকোন কন্ডিশনে পারফর্ম করতে পারবে।’

‘যদি তারা অস্ট্রেলিয়ায় যায় তবে দ্রুতগতির উইকেটে পার্থে মিচেল স্টার্ককে মোকাবেলা করবে, যদি ইংল্যান্ডে যায় জিমি অ্যান্ডারসনের গতির সাথে সুইংও সামলাতে হবে। এটা একমাত্র অভ্যস্ত করানো সম্ভব যদি এই খেলোয়াড়গুলোকে এখনই ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে খেলানো যায় এবং এই ধরণের ক্রিকেটারদের সামলাতে দেওয়া হয়। যাতে যখনই তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসবে দেখতে পাবে এসব তার আগে থেকেই অভ্যাস আছে এবং সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে পারবে।’

বাংলাদেশে এসে এখনো পর্যন্ত মুগ্ধতার মধ্যেই আছেন উল্লেখ করে এই ইংলিশ ম্যান যোগ করেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমি সত্যি উপভোগ করছি। হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে প্রদত্ত সুযোগ সুবিধার গুণগতমান নিয়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের একটা ভালো লেকচার রুম আছে, বড় একটা ইনডোর স্কুল আছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে দারুণ একটা পিচ, আমাদের আছে আউটডোর নেট। কাজ করার জন্য এসব দারুণ সুযোগ সুবিধা।’

তবে নিজের চ্যালেঞ্জ খুঁজতে গিয়ে রেডফোর্ড আবারও জানালেন এমন ক্রিকেটার তৈরি করতে চান যেন সব ধরণের কন্ডিশনেই পারফর্ম করতে পারে, ‘আমার বড় চ্যালেঞ্জ হল এইচপির ক্রিকেটারদের যেকোন কন্ডিশনে পারফর্ম করার মত করে গড়ে তোলা। তরুণদের প্রতিভা দেখে ইতোমধ্যে আমি বেশ মুগ্ধ। একজন আছে যে ডগস্টিক দিয়ে থ্রো করতে পারে, তারা তাকে জফরা (আর্চার) বলে ডাকে এবং সে সম্ভবত ঘন্টায় ৯০ মাইল গতিতে ছুঁড়তে পারে।’

‘আজ সকালে দেখলাম তিন চারটা ব্যাটসম্যানকে যারা এই গতির সামনেও বেশ সাবলীলভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা তাদের টেকনিক ও সাহস দেখিয়েছে যা উৎসাহী করে টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার ব্যাপারে। এটা অবশ্যই উৎসাহ উদ্দীপনা জোগায় আমাদের।’

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

ক্যারিবিয়ানদের দেখানো টেমপ্লেট আফিফ-সুমনদের দেখিয়েছেন রেডফোর্ড

Read Next

সাকিবের প্রত্যাবর্তনঃ টুইটারে স্বাগত জানিয়েছে যারা

Total
0
Share