
প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া টবি রেডফোর্ড ২৭ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্পের দেখভাল শুরু করেছেন। গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পে বিরতি পড়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের জন্য। টবি রেডফোর্ডও বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ চলাকালীনই বাংলাদেশে এসে পৌঁছান। প্রথমবারের মত গণমাধ্যমের সাথে আলাপে এই ইংলিশ জানালেন এইচপি ক্যাম্পের কার্যক্রম সম্পর্কে।
টবি রেডফোর্ড এর আগে কাজ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট একাডেমিতে। ২০১০ সালে তিন মাসের ক্যাম্পে তার অধীনে ট্রেনিং করা জেসন হোল্ডার-শ্যানন গ্যাব্রিয়েলরা বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের মূল ক্রিকেটার। পরে কাজ করেছেন ক্যারিবিয়ানদের সহকারী কোচ হিসাবেও। আজ (২৯ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টবি রেডফোর্ড জানিয়েছেন এইচপির ক্রিকেটারদের ক্যারিবিয়ানদের সাথে কাজের টেমপ্লেট দেখিয়েছেন।
২৬ সদস্যের বহর নিয়ে শুরু হওয়া এইচপির স্কিল ক্যাম্পে আছেন সুমন খান, শরিফুল ইসলাম, শাহীন আলম, মুকিদুল ইসলামের মত প্রতিভাবান পেসাররা। বাংলাদেশের তরুণদের সাথে কাজ শুরু করতে গিয়ে রেডফোর্ডের মনে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট একাডেমিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা। আর সেটির প্রয়োগও করতে চান সুমন খান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাইম শেখ, আকবর আলি, শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীদের উপর।
রেডফোর্ড বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাডেমিতে কাজ করি। ১৯ বছর বয়সী জেসন হোল্ডার ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের কথা মনে পড়ে। বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের অর্ধেকই ঐ গ্রুপে ছিল। তিন মাসের ঐ ক্যাম্পে ১৬ জন ক্রিকেটার ছিল যারা কানাডা সফরে যায়। আরেক বছর আমরা দুবাই সফর করি যেখানে আফগানিস্তানের সিনিয়র দলের বিপক্ষে খেলি।’
ক্রিকেটারদের শক্তি, দুর্বলতার জায়গা নিয়ে কাজ করতে ভিডিও এর গুরুত্ব তুলে ধরে রেডফোর্ড বলেন, ‘ভিডিও এটির বড় একটা অংশ। ভিডিওর মধ্যে সবকিছু আছে। আমরা খেলোয়াড়দের শক্তির জায়গা ও উন্নতির জায়গা নিয়ে কথা বলি। এটি ভিডিও, আমার খোলা চোখ ও বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতার সমন্বয়। যা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ড্রিল ও বিভিন্ন ট্রেনিং পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের উন্নতি হয়। দারুণ বিষয় হল আপনি নিজেদের মধ্যে হওয়া ম্যাচ কিংবা বাইরে কোথাও খেলতে গেলেই টের পাবেন পরিবর্তনগুলো।’
এইচপির স্কিল ক্যাম্পের ক্রিকেটারদের ইতোমধ্যে সেসব টেমপ্লেট দেখিয়েছেন উল্লেখ করে রেডফোর্ড যোগ করেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করার সময় যে টেমপ্লেটগুলো ব্যবহার করেছি সেগুলো আমি তাদের দেখিয়েছি। ৫০ ওভার ও ৫ দিনের ম্যাচের ব্যাটিং টেমপ্লেট। বড় দলগুলোর বিপক্ষে ৫ দিনের টেস্টে ধারাবাহিকভাবে আমরা যা অর্জন করতে চাই।’
‘আমি এই কৌশলগুলোর নীল নকশা খেলোয়াড়দের দিয়েছি। আমরা কি অর্জন করতে চাইছি তার টেমপ্লেটের পাশাপাশি ম্যাচগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করবো। আমি চিন্তা ভাবনা করে এমন ক্রিকেটার চাই। আমি চাই তারা চিন্তা করুক এবং খেলাটা বুঝুক যাতে যখন কোচ তাদের আশেপাশে থাকবেনা তারা যেন নিজের মত করে কাজগুলো করতে পারে। যখন তারা সাদা রেখা অতিক্রম করে এবং মাঝখানে যায় তখন তারা নিজেদের মধ্যেই আছে।’
‘পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তাদের মনের নমনীয়তা এবং খেলাটি বোঝা উচিৎ। তারা কীভাবে খেলতে চলেছে এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে তারা কি করবে? কোচ হিসেবে তাদের জন্য আমরা ভালোভাবে সামলাতে পারি তবে তারা নিজেরাই নিজেদের তৈরি করতে পারবে যারা নিজেদের নিয়ে ভাবে।’