

আসন্ন মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিএসএ) চমকপ্রদ কিছু হোম সিরিজের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে আসবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এছাড়াও সামনে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানকেও নিজ দেশে আতিথেয়তা দেবে বলে সিএসএ জানিয়েছে।
২৭ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুইটি টেস্ট খেলবে তারা। এরপর অস্ট্রেলিয়ার সাথে ফেব্রুয়ারি এবং তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে এপ্রিলের শেষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের আসার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
করোনা বিষয়ক দক্ষিণ আফ্রিকান সরকারের বেঁধে দেওয়া সকল বিধিনিষেধ অতিক্রম করে মাঠে ক্রিকেটকে আবার ফেরাতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সিএসএ।
সিএসএ-এর অস্থায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুগান্দ্রি গোভেন্দার দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাদের প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
‘আমাদের অনেক কষ্ট ও পরিশ্রমের পর আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে ক্রিকেটকে মাঠে ফিরিয়ে আনছি। যদিও গ্যালারিতে দর্শক অনুপস্থিত থাকবে। আমাদের সমর্থকদের জন্য বিনোদনমূলক ব্যবস্থাও রেখেছি, যাতে করে তারা টিভিতে খেলা দেখার পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে,’ গোভেন্দার জানান।
সবগুলো ম্যাচ জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভিত্তিতে দর্শকশূণ্য মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও ৪র্থ বারের বছরের শুরুর টেস্ট হবে জোহানেসবার্গে এবং নতুন ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে খেলা হবে। এর আগে ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৪ সালে পুরনো ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে বছরের শুরুর টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আগের দুইবারের মত এবারের বক্সিং ডে টেস্টও হবে সেঞ্চুরিয়নে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে দ্রুতগতির পিচ ওয়ান্ডারার্স এবং সেঞ্চুরিয়নে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এ দুই পিচেই শ্রীলঙ্কাকে নাস্তানাবুদ করতে চায়। শেষবার ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে প্রথমবারের মত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এবার তার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর দক্ষিণ আফ্রিকা।