

পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন) নিয়ে মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার মিচেল জনসন।
৭৩ টেস্ট খেলে ৩১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন এ বামহাতি ফাস্ট বোলার। ২০১৩-১৪ অ্যাশেজ সিরিজে ১৩.৯৭ গড়ে ৩৭ উইকেট নিয়েছিলেন।
চ্যানেল সেভেনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জনসন বলেন, ‘ক্রিকেট থেকে অবসরের পর জীবন কঠিন হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে কীভাবে কী করবো, বুঝে উঠতে পারছিলাম না।’
বর্তমানে ৩৮ বছর বয়সে উপনীত হওয়া জনসন ২০১৫ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের পর আইপিএল এবং বিগ ব্যাশে তিন মৌসুম খেলেছিলেন।
‘আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। ওটা ফিরে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছি। দুই বছর ধরে ক্রিকেট ছেড়ে আমি এখন এ অবস্থায় আছি।’
‘অবসরে যাওয়াটা খুবই কষ্টের, এখান থেকে বিষণ্ণতা পেয়েছি। যদিও আমি মনে করি বিষণ্ণতা ছোটবেলা থেকে পেয়েছিলাম।’
‘একটা পর্যায়ে ক্রিকেটের মধ্যে ডুবে ছিলাম। তখন বিষণ্ণতা টের পেতাম না। কিন্তু আপনি নিজের কক্ষে যাবেন, তখন আপনি পরিবার থেকে দূরে থাকবেন এবং আপনি বিষণ্ণতা অনুভব করবেন।’
‘আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বিষণ্ণতা কাজ করতো। আমি নিজের কাজে মনযোগ দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতাম এবং নিজের মনকে চলমান রাখতাম, কাজের মধ্যে ডুবে থাকতাম।’
জনসন সন্দেহ করেন দীর্ঘদিন পরিবার থেকে দূরে ঘরের বাইরে থাকলে বিষণ্ণতা বেশি কাজ করে। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি।
‘২০১০-২০১১ সালে অ্যাশেজ সিরিজে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারার পর বার্মি আর্মিদের দ্বারা তিরস্কার পেয়েছিলাম। ঐ সময়টায় পেশাদার ক্রিকেটার হয়েও ব্যাপারটা আমি ভালোভাবে নিতে পারিনি এবং সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছিলাম।’
‘আপনার সময় যখন খারাপ যাবে, তখন আপনি ভালো মূহুর্ত ফিরে পেতে অনেক সংগ্রাম করবেন। আপনাকে সেই খারাপ সময় উৎরানোর জন্য অনেক বেশি ভাবতে হবে। অনেক সময় আপনি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাবেন এবং আপনার মনও আপনাকে কোন কিছুতে সায় দিবে না। এরপর আপনি খারাপটাই ভাবা শুরু করেন। এভাবে বিষণ্ণতা আপনাকে কাবু করে ফেলে।’