

পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির নতুন মৌসুম শুরু হলো আজ (২৫ অক্টোবর) থেকে। এই টুর্নামেন্টে খেলার সম্ভাবনা ছিল সালমান বাটের। কিন্তু পাকিস্তানের এই প্রাক্তন অধিনায়ক এই বছরের কায়েদ-আজম ট্রফিতে অংশ নিতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু পিসিবি তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় থাকতে বলেন।
টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের সাথে নিজের ভবিষ্যত না থাকায় সালমান বাট নন-প্লেয়িং চরিত্রে মনোনিবেশ করেছেন। আজ থেকে শুরু হওয়া কায়েদ-আজম ট্রফি থেকে সরে এসেছেন, খেলায় খেলোয়াড়ের ভূমিকায় না থাকলে সালমান এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন ঠিকই।
পিসিবি তাকে প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টের সম্প্রচারের জন্য ভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছে। এবং ২০শে নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া চতুর্থ রাউন্ড থেকে শুরু হবে সালমান বাটের অন্যরকম এক যাত্রা। তিনি সাদা বলের ক্রিকেট উপভোগ করবেন খেলোয়াড়ের বাইরে ভিন্ন চরিত্রে।
পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট লিফ শুরু হয়েছে আজ ২৫ অক্টোবর থেকে। টুর্নামেন্টটির পাঁচ দিনের ফাইনাল ম্যাচ হবে ২০২১ এর ১ জানুয়ারি। এবার কায়েদ-ই আজম ট্রফির পুরো আসরই হবে করাচিতে।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ধারাবাহিক পারফর্ম করেও জাতীয় দলে ডাক পাননি। এখন ঘরোয়া লিগেও উপেক্ষার শিকার হচ্ছেন সালমান বাট।
২০১০ সালে লর্ডসে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির মাধ্যমে নিন্দা কুড়িয়েছিলেন সালমান বাট। স্পট ফিক্সিংয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হলে সালমানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই অভিযোগে জেলও খাটতে হয়েছে। এরপর দীর্ঘদিন সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও জাতীয় দলে আর জায়গা পাননি। এবার ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটেও।
ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের হয়ে খেলার কথা ছিল সালমানের। তবে সেন্ট্রাল পাঞ্জাব সালমানকে তাদের প্রথম একাদশ থেকে সরিয়ে দ্বিতীয় একাদশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। দ্বিতীয় সারির দলে খেলার প্রস্তাবে সালমান রাজি হননি। আর তাতে টুর্নামেন্ট থেকে নিজের নামই প্রত্যাহার করেন বাট।
সালমান বাট ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত করছে। ছয় বছর ক্রিকেটের সঙ্গে না থাকলেও তার ফিটনেস অসাধারণ। প্রথম শ্রেণিরর ক্রিকেটে ১৩১ ম্যাচে ৮ হাজার ৯২১ রান সংগ্রহ করেছেন। তিনি পাকিস্তান দলের হয়ে ২৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৫৯৫, স্ট্রাইক রেট ১০৭.৯৮। টেস্ট খেলেছেন ৩৩টি, যেখানে সালমানের রান সংখ্যা ১৮৮৯, ৩০.৫ গড়ে। ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন ৭৮টি, ৩৬.৮ গড়ে রান করেন ২৭২৫।