নাজমুল একাদশকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশ

পেসারদের দাপটে ১৭৩ এই শেষ নাজমুল একাদশ
Vinkmag ad

গত ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ। আজ (২৫ অক্টোবর) ফাইনালে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ ও নাজমুল একাদশ। এই ম্যাচের খুটিনাটি হালনাগাদ এই লাইভ রিপোর্টে।

নাজমুল একাদশকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশঃ

৩০ তম ওভারে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের ফিফটি তুলে নেন ইমরুল কায়েস। ১২২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ৫৫ বলে ১ চার ও ৬ ছয়ে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস, ১১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

নাজমুল একাদশঃ ১৭৩/১০ (৪৭.১ ওভার), সাইফ ৪, সৌম্য ৫, শান্ত ৩২, মুশফিক ১২, আফিফ ০, তৌহিদ ২৬, ইরফান ৭৫, নাইম ৭, নাসুম ৩, তাসকিন ১, আল আমিন ২*; রুবেল ৮-২-২৭-২, সুমন ১০-০-৩৮-৫, এবাদত ৮.১-১-১৮-১ , মিরাজ ৯-০-৩৯-১, বিপ্লব ৫-০-২১-০, মাহমুদউল্লাহ ৭-০-২৮-১

মাহমুদউল্লাহ একাদশ ১৭৭/৩ (২৯.৪), লিটন ৬৮, মুমিনুল ৪, জয় ১৮, ইমরুল ৫৩*, মাহমুদউল্লাহ ২৩*; আল আমিন ৬-১-৩২-১, নাসুম ১০-০-৪৮-২।

ফলাফলঃ মাহমুদউল্লাহ একাদশ ৭ উইকেটে জয়ী।

সেরা ব্যাটসম্যান- ইরফান শুক্কুর (নাজমুল একাদশ)
সেরা বোলার- সুমন খান (মাহমুদউল্লাহ একাদশ)
সেরা ফিল্ডার- নুরুল হাসান (মাহমুদউল্লাহ একাদশ)
ম্যাচসেরা- সুমন খান (মাহমুদউল্লাহ একাদশ)

লিটনের ফিফটিঃ

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে ঠিক নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না লিটন দাস। ফাইনালের আগে ৪ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের সহ অধিনায়ক রান করেছিলেন যথাক্রমে- ১১, ০, ২৭ ও ৫। অবশেষে ফাইনালে রানের দেখা পেলেন এই ব্যাটসম্যান। ৪৭ বলে ৮ চারে ৫০ রান পূর্ণ করেন লিটন কুমার দাস। ৩৮ থেকে ৫০ রান অব্দি যেতে লিটন নাইম হাসানের প্রথম ওভারে মারেন তিন বাউন্ডারি।

দারুণ খেলতে থাকা লিটন আউট হন ২৭ তম ওভারের ১ম বলে। নাসুম আহমেদের বলে পারভেজ হোসেন ইমনকে ক্যাচ দেন তিনি। ৬৯ বলে ১০ চারে করেন ৬৮ রান। ইমরুলকে সঙ্গ দিতে উইকেটে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

নাসুম ফেরালেন জয়কেঃ

৪র্থ ওভারের শেষ বলে মুমিনুল হক ফিরে যাবার পর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য মাহমুদুল হাসান জয়। ৬২ বল স্থায়ী এই জুটি ভাঙে জয় আউট হলে। ৩২ বলে ২ চারে ১৮ রান করে নাসুম আহমেদের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ফিফটির পথে থাকা লিটন দাসকে সঙ্গ দিতে এসেছেন ইমরুল কায়েস।

মুমিনুলকে ফেরালেন আল আমিনঃ

১৭৪ রানের ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্রুতই উইকেট হারিয়ে বসেছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামা মুমিনুল হক ফিরেছেন ৪ রান করে। ১২ বলে ৪ রান করা মুমিনুলকে নাসুম আহমেদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আল আমিন হোসেন। লিটন দাসকে সঙ্গ দিতে উইকেটে এসেছেন মাহমুদুল হাসান জয়।

পেসারদের দাপটে ১৭৩ এই শেষ নাজমুল একাদশঃ

রুবেল হোসেনের করা ৪৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে ৯ম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান ইরফান শুক্কুরও। বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭৬ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় ৭৫ রান। তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকেনি নাজমুল একাদশের ইনিংসও। তাসকিন আহমেদকে (১) বোল্ড করেন এবাদত হোসেন। ১৭৩ রানেই শেষ হয় নাজমুল একাদশের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ প্রথম ইনিংস শেষে

নাজমুল একাদশঃ ১৭৩/১০ (৪৭.১ ওভার), সাইফ ৪, সৌম্য ৫, শান্ত ৩২, মুশফিক ১২, আফিফ ০, তৌহিদ ২৬, ইরফান ৭৫, নাইম ৭, নাসুম ৩, তাসকিন ১, আল আমিন ২*; রুবেল ৮-২-২৭-২, সুমন ১০-০-৩৮-৫, এবাদত ৮.১-১-১৮-১ , মিরাজ ৯-০-৩৯-১, বিপ্লব ৫-০-২১-০, মাহমুদউল্লাহ ৭-০-২৮-১।

সুমন খানের ‘৫’ উইকেটঃ

নাসুম আহমেদকে ফিরিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন মাহমুদউল্লাহ একাদশের পেসার সুমন খান। ৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে নাসুম ফিরলে ৮ উইকেটের পতন হয় মাহমুদউল্লাহ একাদশের। ৪৫ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ ১৬২ রান।

সুমন খানের চতুর্থ শিকারঃ

নাইম হাসানকে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের চতুর্থ উইকেট শিকার করলেন পেসার সুমন খান। তার আগেই অবশ্য ফিরে গেছেন ইরফান শুক্কুরের সাথে জুটি বেঁধে দলের সংগ্রহ বাড়ানোতে সাহায্য করা তৌহিদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ৫৩ বলে ২ চারে ২৬ রান করে ফিরেছেন তৌহিদ। এরপর ক্রিজে আসা নাইম হাসানও বেশিক্ষণ টিকেননি। সুমন খানের বলে লেগ বিফোরের শিকার হওয়ার আগে করেছেন ১৮ বলে ৭ রান। নাজমুল একাদশের ভরসার প্রতীক হয়ে উইকেটে আছেন ইরফান শুক্কুর।

শুক্কুরের ফিফটিঃ

টুর্নামেন্ট জুড়ে পারফর্ম করা ইরফান শুক্কুর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন ফাইনালেও। ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানো নাজমুল একাদশের হাল ধরেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৬ষ্ঠ উইকেটে ৫০ ছাড়ানো জুটি গড়েন। ইতোমধ্যে ইরফান তুলে নেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ফিফটিও। ৪৬ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ফিফটিতে পৌঁছান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।

৫৩ বলে ২ চারে ২৬ রান করে আউট হয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন দাসকে।

ফিরে গেলেন শান্তঃ

অন্য প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আগলে রাখেন এক প্রান্ত। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। ৫৭ বলে ৪ চারে ৩২ রান করে তার বিদায়ে নাজমুল একাদশ পরিণত হয় ৫ উইকেটে ৬৩ রানে।

সুমন খানের তৃতীয় শিকার আফিফঃ

দুই পেসার রুবেল হোসেন ও এবাদত হোসেন ১০ ওভার বোলিং করে খরচ করেছেন কেবল ১৭ রান। তাদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের ফল পেয়েছেন অপর পেসার সুমন খান। নিজের ৫ম ওভারের ৪র্থ বলে শিকার করেছেন তৃতীয় উইকেট। কোন রান না করে সাজঘরে ফিরেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহানকে। অধিনায়ক শান্তকে সঙ্গ দিতে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন তৌহিদ হৃদয়।

সুমনের দ্বিতীয় শিকার সৌম্যঃ

পুনরায় উইকেটে ফিরে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না সৌম্য সরকার। ১১ বলে ৫ রান করে সুমন খানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নুরুল হাসান সোহানকে। ১৪.২ ওভারে ৪৫ রানে নেই নাজমুল একাদশের ৩ উইকেট।

ফিরলেন মুশফিক, এলেন সৌম্যঃ

চোখে অস্বস্তি হবার কারণে স্বেচ্ছা অবসরে গিয়েছিলেন সৌম্য সরকার, ইনিংসের ২য় ওভারে। পরে আবার উইকেটে আসেন ১৩ তম ওভারে। এর মাঝে নাজমুল একাদশ হারিয়েছে দলের ইন ফর্ম ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের উইকেট। ৩৭ বলে ২ চারে ১২ রান করে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সুমন খানের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন মুশফিক।

সাইফকে ফেরালেন রুবেলঃ

ইনিংসে প্রথম তিন বল থেকে কোন রান না করতে পারলেও চতুর্থ বলে বাউন্ডারি আদায় করে নিয়েছিলেন সাইফ হাসান। তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ বল করতে থাকা রুবেল হোসেন পরবর্তী বলেই তুলে নেন সাইফের উইকেট। ভেতরে ঢোকা বল সাইফের ব্যাটে লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। প্রথম ওভারেই উইকেটে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

খেলছেন যারাঃ

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের নিয়ম অনুযায়ী (প্লেয়িং কন্ডিশন) এক ম্যাচে প্রতি দলে ১২ জন ক্রিকেটার থাকবে। যদিও মাঠে একসঙ্গে ফিল্ডিং এ নামবে ১১ জন, ব্যাটিং করতে পারবে ১১ জন। উল্লেখ্য, এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো লিস্ট-এ ম্যাচের তকমা পাবে না।

মাহমুদউল্লাহ একাদশে এসেছে তিন পরিবর্তন। নাইম শেখ, আবু হায়দার রনি ও রাকিবুল হাসানের পরিবর্তে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুমিনুল হক সৌরভ ও সুমন খান।

নাজমুল একাদশে পরিবর্তন দুইটি। রিশাদ হোসেন বাদ পড়লেও সুপার সাব হিসেবে আছেন আবু জায়েদ রাহি। তাদের পরিবর্তে মূল একাদশে জায়গা হয়েছে নাইম হাসান ও ওপেনার সাইফ হাসান।

মাহমুদউল্লাহ একাদশ- (খেলবেন যে ১২ জন)

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস (সহ অধিনায়ক), ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক সৌরভ, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান রুম্মন, মেহেদী হাসান মিরাজ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, সুমন খান, এবাদত হোসেন চৌধুরী (সুপার সাব), মোহাম্মদ রুবেল হোসেন ও মাহমুদুল হাসান জয়।

নাজমুল একাদশ (খেলবেন যে ১২ জন)-

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার (সহ অধিনায়ক), মোহাম্মদ সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর (উইকেটরক্ষক), তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহি (সুপার সাব), নাসুম আহমেদ ও নাইম হাসান।

টস আপডেটঃ

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতেছে মাহমুদউল্লাহ একাদশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টসে জিতে আগে নাজমুল একাদশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

পাশার দান উল্টে দিয়ে জিতল পাঞ্জাব

Read Next

টেস্ট ক্রিকেটে ভবিষ্যত নেই, নতুন ভূমিকায় সালমান বাট

Total
0
Share