

বদলে যাওয়া তাসকিন আহমেদ বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে আগ্রাসণ, একাগ্রতা আর দৃঢ় প্রত্যয়ের মিশেলে ছাপ রেখেছেন স্পষ্ট। ৪ ম্যাচে তার শিকার করা ৭ উইকেট কোনভাবেই বোঝাতে সক্ষম না প্রতিপক্ষ শিবিরে কতটা কঠিন সময় উপহার দিয়েছেন। তবে তাসকিন নিজেকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে জানান উন্নতির পথ বাকি আরও, যতটুকু করেছেন তাতে আত্ববিশ্বাস হয়েছে দৃঢ়।
আগামীকাল (২৫ অক্টোবর) মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে তাসকিনের নাজমুল একাদশ। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচে তিন জয়ে সবার শীর্ষেই ছিল তারা। ফাইনালের আগে এটিই এগিয়ে রাখছে তরুণদের নিয়ে গড়া নাজমুল একাদশকে।
আজ (২৪ অক্টোবর) এক ভিডিও বার্তায় তাসকিন বলেন, ‘ফাইনালে ইন শা আল্লাহ লক্ষ্য থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কারণ আমাদের দল চারটার মধ্যে তিনটায় জিতেছে। আর সবাই অনেক এফোর্ট দিচ্ছে এবং অনেক পরিশ্রম করছে। মাঠে আমরা সবাই ফিল্ডিং বলেন, ব্যাটিং বলেন সবাই সবার জায়গা থেকে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তো চেষ্টা থাকবে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’
টুর্নামেন্টে পেসারদের সাফল্য ছিল নজর কাড়া। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় প্রথম পাঁচ জনই পেসার। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন, আল আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরা কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন প্রতিপক্ষের।
অন্যদের সাথে নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে গিয়ে ডানহাতি এই পেসার যোগ করেন, ‘আল্লাহর রহমতে এই টুর্নামেন্টে আমাদের সব ফাস্ট বোলাররাই ভালো করছে। সবাই বেশ ভালো মিতব্যয়ী এবং নতুন বল, পুরোনো বলে উইকেট নিচ্ছে। নিজেরটা মূল্যায়ন করতে চাইলে আগের থেকে বেটার। আরও উন্নতি করতে হবে কিন্তু আগের থেকে ভালো হচ্ছে। আমি কাজ করছি, আল্লাহ যদি চায় সামনে আরও ভালো কিছু হবে।’
আবহাওয়া ও উইকেটের কিছুটা বাড়তি সাহায্য পেয়েছে পেসাররা তবে নিজেদের শক্তির জায়গা কাজে লাগিয়েছে বলেই সফল হয়েছে বলে মত ২৫ বছর বয়সী এই পেসারের।
বাংলাদেশের হয়ে ৫ টেস্ট, ৩২ ওয়ানডে ও ১৯ টি টি-টোয়েন্টি খেলা তাসকিন আরও বলেন, ‘বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে কিন্তু এরমধ্য থেকেও বোলাররা একটু সাহায্য পেয়েছে। তবে সাহায্য পেলেও ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করেছে, ব্যাটসম্যানদের কঠিন সময় দিয়েছে। বিশেষ করে প্রথম পাওয়ার প্লেতে নতুন বলে।’
‘বোলারদের এখানে কৃতিত্ব দিতেই হবে যে তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় বল করেছে, পরিকল্পনার প্রয়োগ করেছে। ব্যাটসম্যানদের সহজ বা খেলার মত বল কম দেওয়া হয়েছে সব দলেরই এবং আল্লাহর রহমতে সব পেসাররাই ভালো করেছে। এটা একোটা ভালো দিক, ইতিবাচক ব্যাপার হল ফাস্ট বোলাররা উন্নতি করছে।’