
করোনা প্রভাবে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া দ্য ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবির) বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী এক বছর ১৫ শতাংশ বেতন কর্তনের শর্তে রাজি হয়েছে ইংলিশ ক্রিকেটাররা। করোনাকালে সবার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটা ফেরানো ইংল্যান্ড তিন ফরম্যাটেই খেলছে নিয়মিত। তবে তা সত্বেও ১০৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ইসিবির।
যে কারণে ৬২ জন কর্মীকে ছাঁটাই করার মাধ্যমে ব্যয় কমানোর পথে হাঁটে ইসিবি। আর এরপর ক্রিকেটাররাও আঁচ করতে পেরেছিলেন কর্তন হতে পারে তাদের বেতনের অংশও।
অক্টোবরের শুরুতে ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা পরিস্থিতি সম্পর্কে খুব সচেতন। যেহেতু ইসিবি ৬০ জনের মত কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে সেহেতু আমার মনে হয় ক্রিকেটাররাও স্বাভাবিক বেতন প্রত্যাশা করা ভুল।’
গ্রীষ্মের মৌসুম শুরু করতে ক্রিকেটাররা ইসিবিকে অর্ধ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে দিয়েছিল। আগামী এক বছর বেতনের ১৫ শতাংশ কর্তনেও তারা সম্মত হয়েছে। যার অধীনে থাকবে ম্যাচ ফি, কেন্দ্রীয় চুক্তি অনুসারে বেতন ও উইনিং বোনাসও।
১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী এক বছর এই কর্তন কার্যকর হবে। পুরো বিষয়টি সুরাহা হয়েছে ইসিবি, প্রোফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং টিম ইংল্যান্ড প্লেয়ার পার্টনারশিপ (টিইপিপি) এর মধ্যস্থতায়।
ইংল্যান্ডের পুরুষ দলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাসলে গিলিস বলেন, ‘খেলোয়াড় ও টিইপিপিকে তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই, যা আমাদের এই চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম করেছে। আমাদের পুরুষ দলের ক্রিকেটার ও তাদের প্রতিনিধিদের (টিইপিপি) সাথে সম্পর্ক দৃঢ়। আমাদের আলাদা করে বলতেই হবে যে এই কঠিন সময়ে দুই অধিনায়ক জো রুট (টেস্ট) ও এউইন মরগানের (ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি) দুর্দান্ত পরিণতবোধ ও দায়িত্ব নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।’
‘আমরা এখন এই চুক্তিটি তৈরি করতে চাই এবং খেলোয়াড়দের কল্যাণ বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করতে চাই। যা আমাদের সবার জন্যই বেশ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমরা এই মহামারী নিয়েই পথ চলছি।’