

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক কপিল দেব। ১৯৮৩ সালে ভারতকে শিরোপা জেতানো অধিনায়ককে ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির এক হাসপাতালে।
ইকোনমিক টাইমসের সংবাদদাতা টিনা থাকার এই তথ্য নিশ্চিত করেন। ভর্তি হওয়া হাসপাতালে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছে তাকে।
Legendary cricketer Kapil Dev @therealkapildev suffers heart attack, undergoes angioplasty at a hospital in Delhi. Wishing him a speedy recovery.
— Teena Thacker (@Teensthack) October 23, 2020
Just saw him playing at Delhi Golf Club couple of days ago. He has lost a lot of weight. Literally with little muscle mass on arms etc. I’m told he had diabetes related health issues. Wishing him all the best.
— K. C. Singh (@ambkcsingh) October 23, 2020
Wishing the big-hearted, mighty Kapil Dev a speedy recovery. So much more to do.
— Harsha Bhogle (@bhogleharsha) October 23, 2020
ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার ভারতের পক্ষে খেলেছেন ১৩১ টেস্ট, ২২৫ ওয়ানডে। ব্যাট হাতে টেস্টে ৮ সেঞ্চুরি ও ২৭ ফিফটির সাহায্যে রান করেছেন ৫২৪৮, ওয়ানডেতে ১ সেঞ্চুরি ও ১৪ ফিফটির মালিক কপিল রান করেছেন ৩৭৮৩।
২২৭ টেস্ট ইনিংসে বল হাতে নিয়ে কপিল দেব উইকেট নিয়েছেন ৪৩৪ উইকেট, ইনিংসে ২৩ বার নিয়েছেন ৫ উইকেট, ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ২ বার। ২২৫ ওয়ানডের ২২১ ইনিংসে বল করে ডান হাতি ফাস্ট মিডিয়াম বল করা কপিলের শিকার ২৫৩ উইকেট। ইনিংসে ৩ বার নিয়েছেন ৪ উইকেট, ১ বার ৫ উইকেট।
ভারতের জার্সি গায়ে মাঠ মাতানো এই বিশ্বজয়ী অলরাউন্ডার অক্টোবর ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের আগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন। মনোজ প্রভাকরের করা ম্যাচ ফিক্সিং এর আরোপের পর পদত্যাগ করেন তিনি। পরে অভিযোগ ধোপে না টিকলেও অভিমানে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন কপিল।
উইজডেন তাকে ভারতের শতাব্দী সেরা ক্রিকেটারের খেতাব দিলে পুনরায় ক্রিকেটে ফেরেন কপিল। ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেন তিনি, বোলিং পরামর্শকের ভূমিকাও পালন করেন। ২০০৭ সালে বিতর্কিত ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইসিএল) এ যোগ দেন কপিল, যেকারণে পরবর্তীতে এনসিএ’র দায়িত্ব ছাড়তে হয় তাকে।