

যুব বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারদের বড় মঞ্চে মেলে ধরার সুযোগ হতে পারতো ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। তবে করোনা থাবায় জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে মাত্র এক ম্যাচেই ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করতে পেরেছেন আকবর আলি, শাহাদাত হোসেন দিপু, তানজিদ হাসান তামিমরা।
কিন্তু করোনা পরবর্তী বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ তাদের সামনে এনে দেয় আরও বড় মঞ্চ, যেখানে পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণে সরাসরি নজর ছিল জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর। কাজ করার সুযোগ হয়েছে অন্যান্য কোচিং স্টাফের সাথেও। টুর্নামেন্টের বাকি ফাইনাল ম্যাচ, তার আগেই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন ডোমিঙ্গো।
যুব বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারদের কেমন দেখেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই প্রোটিয়া কোচ বলেন এখনই তাদের জাতীয় দলের জন্য বিবেচনায় না আনা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাস্তব পার্থক্য তুলে ধরে তিনি জানান তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যেন হুমকি মুখে না পড়ে আকবরদের ক্রিকেট ক্যারিয়ার।
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমি মনে করি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের যত বেশি সম্ভব গড়ে ওঠার সময় দিতে হবে। একজন তরুণ ক্রিকেটার, বিশেষ করে একজন ব্যাটসম্যানকে খুব তাড়াহুড়ো করে দলে নিলেন, সে কয়েক ম্যাচে ব্যর্থ হল এবং তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলে আর ভুলে গেলেন দুই-তিন বছরের জন্য, এমন কিছু প্রত্যাশিত নয়। বরং তার দলে অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করুন তখনই যখন সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করতে প্রস্তুত।’
জাতীয় দলে ঢোকার পথটা কঠিন হওয়ার পক্ষেই মত ডোমিঙ্গোর, ‘জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াটা অবশ্যই কঠিন হতে হবে। যে কাউকেই জাতীয় দলের হয়ে খেলানোর জন্য বেছে নিতে পারেন না। ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় কিছু করে, ট্রেনিং ও ফিটনেসে শৃঙ্খলার প্রমাণ রেখে, জীবনাচরণ ভালো করে ও দলীয় সংস্কৃতিতে মানিয়ে রাখার মতো উপযুক্ত হতে হবে তাকে।’
‘অসাধারণ কোন প্রতিভা না হলে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে সোজা জাতীয় দলে না খেলানোই শ্রেয়। কারণ অনূর্ধ্ব-১৯ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে বড় ফারাক রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলারকে সামলানো তাকে কোনভাবেই লর্ডসে জফরা (আর্চার) কিংবা ওয়াকাতে (মিচেল) স্টার্ককে সামলানোর জন্য প্রস্তুত করেনা।’
‘এটা অনেক বড় পদক্ষেপ। এসব খেলোয়াড় নিয়ে আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে, যেখানে তাদের গড়ে উঠতে উপযুক্ত সুযোগও প্রদান করতে হবে। কিছু সফরে সিনিয়রদের সাথে রেখে ট্রেনিংয়ের সুযোগ করে দেওয়া…। কিন্তু তাদের দলে নেওয়াটা জরুরী না। তাদের নিয়ে আপনার তাড়াহুড়ো করতে চাওয়া ঠিক হবে না কারণ এতে তাদের ক্যারিয়ারই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।’