

করোনা মহামারীর কারণে সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত। খেলাধুলায়ও এর বাজে প্রভাব পড়েছে। আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও কোভিডের প্রভাব দেখা গেছে। সূচি অনুযায়ী যেসব টেস্ট খেলা হয়নি, টুর্নামেন্টকে টিকিয়ে রাখার জন্য সে সকল টেস্ট থেকে পয়েন্টগুলো দলগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
আগামী বছর জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। কোভিড মহামারীর প্রভাবে ইতমধ্যে অনেক টেস্ট বাতিল হয়েছে।
যদিও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অসম্পূর্ণ পয়েন্ট পদ্ধতি নিয়ে বেশ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কেননা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরিকল্পনা মোতাবেক বেশিরভাগ দলই টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে না।
এখন পর্যন্ত বাতিল হওয়া টেস্টগুলো হচ্ছেঃ
শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ড (২)
পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ (১)
বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া (২)
শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ (৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড
২০২১ সালের মার্চের আগে ভারত ও ইংল্যান্ডের ৬টি করে টেস্ট সিরিজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সূচি অনুযায়ী তাদেরই এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকছে। সামনে পুরো গ্রীষ্ম জুড়ে নিউজিল্যান্ডের হোম সিরিজ রয়েছে। শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে নিজ দেশে আতিথেয়তা দিবে দক্ষিণ আফ্রিকা। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে। এখন পর্যন্ত তিনটি টেস্ট সিরিজ খেলতে পেরেছে তারা। বাকি টেস্টগুলো করোনা মহামারীর প্রভাবে বাতিল হয়েছে।