

যে কোন কিছু চর্চায় বিরতি পড়লে পুনরায় শুরু করার ক্ষেত্রে মানিয়ে নিতে সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। আর খেলাটা যখন ক্রিকেট তখন এই চিরায়ত সূত্র যেন আরও প্রবল সত্য। চোট কিংবা নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠের বাইরে গিয়ে ফিরে এসে শুরুতেই পুরোনো ছন্দে দেখা না যাওয়ার উদাহরণ আছে অসংখ্য। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই সাকিবও শুরুতেই অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলবে প্রত্যাশা করেন না টাইগারদের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। ভক্ত-সমর্থকদের কাছে চাওয়া যেন ধৈর্য্য ধরেন তারা।
করোনা পরবর্তী মাঠে ফিরেছে দেশের ক্রিকেট, সরব হচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াই। এখনো আন্তর্জাতিক কিংবা স্বীকৃত প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে অবশ্য করতে হচ্ছে অপেক্ষা। তবে চলমান বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল মাঠে গড়ানোর আগেই দেশের ক্রিকেট, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স, সাকিব আল হাসানের ফেরার অপেক্ষা সহ নানা বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
টাইগার ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান দলে থাকার প্রভাবটা টের পাওয়া যায় অনায়েসেই। দীর্ঘ বিরতির পর তার ফেরার প্রহর গুনছে ভক্ত-সমর্থক, টিম ম্যানেজমেন্ট ও দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এক সপ্তাহ পরই আইসিসি আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠতে যাচ্ছে সাকিবের। প্রধান কোচের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে নিয়মিতই, মাঠে নামার আগে ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রমও করছেন।
তবে ফিরে এসেই সাকিব অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলবে এমন প্রত্যাশা না করতে অনুরোধ ডোমিঙ্গোর। বরং তাকে নিজের পুরোনো ছন্দে ফিরতে সময় দিয়ে, ধৈর্য্য ধরার আর্জি এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের।
তিনি বলেন, ‘গতকাল আমি তার সাথে কথা বলেছি। ও নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করছে। এই মুহূর্তে ও দেশের বাইরে আছে।’
‘সাকিব অন্যান্য খেলোয়াড়ের মতোই, ক্রিকেটে অভ্যস্ত হতে তাঁর কিছুটা সময় দরকার। যদি আশা করে থাকেন ফেরার পর সরাসরিই বিশাল কোনো মিরাকল সে করে ফেলবে… তাকে নিয়ে ধৈর্য্য ধরতে হবে। ও এক বছর ক্রিকেট খেলে না এবং সে খেলতে আগ্রহী। সে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।’
‘কিন্তু তাঁর নিজের পথ নিজের বের করে নিতে হবে। বোলিং মেশিনে অনুশীলন এবং বোলারের সামনে ১৪০ কি.মি গতির বল মোকাবেলা করায় বড় পার্থক্য রয়েছে। তাঁর আগের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে। আমি জানি সে যোগ্যতাসম্পন্ন খেলোয়াড়। আমি আশাবাদী ২০২১ মৌসুমটা তাঁর দুর্দান্ত যাবে।’