

করোনা প্রভাবে স্থগিত হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল) আয়োজনে ইতিবাচক মনোভাব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। চলমান তিন দলীয় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ৫ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি সে পরিকল্পনারই অংশ। তবে ক্লাবগুলোর আর্থিক সংকট এ ক্ষেত্রে বড় একটা ইস্যু। ডিপিএলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক সরাসরি ক্লাবগুলো প্রদান করে বলেই লিগ আয়োজনের বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে সামনে আসছে।
সেক্ষেত্রে বিসিবি ক্লাবগুলোকে প্রণোদনা দিবে কীনা এমন প্রশ্নও উঠে সহসা। তবে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বলছেন প্রণোদনা নয় বরং ক্লাবগুলোর জন্য লোনের ব্যবস্থা করতে পারে দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও দল চালানোর মত সংকটে আছে ক্লাবগুলো এমনটা মনে করেন না বিসিবির এই পরিচালক। বাস্তবতা মেনে জানুয়ারির আগে ডিপিএল আয়োজন সম্ভব না সেটাও জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ (১৯ অক্টোবর) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্লাবগুলোর প্রণোদনা প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘প্রণোদনা বলতে বিসিসবিতো ক্লাবকে টাকা দিবে না। বিসিবি খুব বেশি হলে লোনের ব্যবস্থা করতে পারে ক্লাবের জন্য। আমি জানিনা বিসিবির মতামত কি? আমার যেটা মনে হয় প্রাথমিকভাবে একটা লোনের ব্যবস্থা করতে পারে। ক্লাবগুলো পারবে না এটা বিশ্বাস করি না। সবইতো চলছে, ব্যবসা বানিজ্য আঁটকে নেই।’
‘একটা সময় ছিল দুই তিন মাসের, ঐ সময়টা আমরা বলতে পারতাম যে অনেকখানি ব্যবসা আঁটকে ছিল। এখন তো মানুষ কাজ করছে, গার্মেন্টস চলছে। আমি জানি টাফ হবে ক্লাবগুলোর জন্য। কিন্তু এমন টাফও হবে না যে প্রিমিয়ার লিগও চালাতে পারবেনা। তাদের একটা বাজেট তো থাকেই। সে সব চিন্তা করেই তো তারা ক্লাবগুলো করে।’
এদিকে জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফর থাকায় ঐ সময়ে ডিপিএল আয়োজন করলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে সাংঘর্ষিকতা সৃষ্টি হতে পারে। যদিও খালেদ মাহমুদ সুজনের মতে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ খেললে বাকিরা ডিপিএল খেলবে। তবে ক্লাবের আপত্তি থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পরই আয়োজন করতে হতে পারে ডিপিএল।
বিসিবির এই পরিচালক যোগ করেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসলে প্রিমিয়ার লিগের ক্রিকেটাররা প্রিমিয়ার লিগ খেলবে, এটা আগেও হয়েছে। আমরাতো সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মত হবে, ঘরোয়া ঘড়য়ার মত হবে। সে ক্ষেত্রে যারা আন্তর্জাতিক খেলবে তারা হয়তো ঘরোয়া খেলতে পারবে না। এটা খুব সহজ স্বাভাবিক।’
‘কারণ দুটোতো কখনোই এক সাথে করা যাবেনা। যদি ক্লাবগুলো চিন্তা করে আমরা আমাদের প্লেয়ার ছাড়া খেলবো না সে ক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাওয়ার পর হয়তো আমাদের চিন্তা করতে হবে। আগামী বছর আসলে এত ব্যস্ত সূচি যে আপনি হয়তো সেই সুযোগও পাবেন না। আমাদের মার্চ এপ্রিলে কিছুটা ফাঁকা সময় আছে এ ছাড়াতো মনে হয় নাই।’