

১৩.১ ওভারের মাথায় ৩২ বলে ৪৩ রান করে আউট হন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলপতি ভিরাট কোহলি। বাউন্ডারি লাইনের কাছে দারুণ এক ক্যাচ নেন রাহুল তেওয়াটিয়া। অনেকেই ভেবেছিলেন, এই ক্যাচটিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিবে।
৪১ বল বাকি, জিততে হলে ব্যাঙ্গালোরের চায় তখনো ৭৬ রান। অসম্ভব ছিল না, তবে ধীর লয়ে রান তুলতে থাকা গুরকিরাত ম্যাচটি কঠিন করে তোলেন ব্যাঙ্গালোরের জন্য। অন্যদিকে স্বভাবসুলভ ব্যাটিং করছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
শেষ দুই ওভারে ব্যাঙ্গালোরের দরকার ছিল ৩৫ রান। পেনাল্টিমেট ওভারে বল করতে আসেন জয়দেব উনাদকাট। তার করা প্রথম তিন বলকেই ছক্কায় পরিণত করেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। আরো এক বাউন্ডারি (গুরকিরাতের চার) তে উনাদকাটের ওভার থেকে আসে ২৫ রান।
শেষ ওভারে ব্যাঙ্গালোরের দরকার ছিল ১০ রান। ৩য় বলে জফরা আর্চারের বিপক্ষে যখন স্ট্রাইক পান ডি ভিলিয়ার্স তখন দরকার ৭ রান। ৩য় বলে ২ ও ৪র্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেন তিনি, পূর্ণ করেন ফিফটিও।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসের। বেন স্টোকস ও রবিন উথাপ্পা উদবোধনী জুটিতে যোগ করেন ৫.৪ ওভারে ৫০ রান। ৫০ থেকে ৬৯ অব্দি পৌছাতে বেন স্টোকস, রবিন উথাপ্পা ও সাঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারালে বিপাকে পড়ে রাজস্থান।
এরপরও রাজস্থান ১৭৭ অব্দি যেতে পারে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের বদৌলতে। ৩৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৫৭ রান করেন তিনি। এছাড়া জস বাটলার ২৪ ও রাহুল তেওয়াটিয়া ১৯* রান করেন।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পক্ষে ক্রিস মরিস ৪ উইকেট নেন, ২ উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
রাজস্থান রয়্যালস ১৭৭/৬ (২০), উথাপ্পা ৪১, স্টোকস ১৫, স্যামসন ৯, স্মিথ ৫৭, বাটলার ২৪, তেওয়াটিয়া ১৯*, আর্চার ২; মরিস ৪-০-২৬-৪, চাহাল ৪-০-৩৪-২
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৭৯/৩ (১৯.৪), পাডিকাল ৩৫, ফিঞ্চ ১৪, কোহলি ৪৩, ডি ভিলিয়ার্স ৫৫*, গুরকিরাত ১৯*; গোপাল ৪-০-৩২-১, তিয়াগি ৪-০-৩২-১, তেওয়াটিয়া ৪-০-৩০-১
ফলাফলঃ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরাঃ এবি ডি ভিলিয়ার্স (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর)।