

টেকনিক্যালি দেশের সেরা উইকেট রক্ষক বলা হয় নুরুল হাসান সোহানকে। তবে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে মূল কাজ ব্যাট হাতে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে বাংলাদেশের জার্সিতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন, যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্য পেয়ে প্রায়শই বাড়ান আফসোস। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন তামিম একাদশের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী ইনিংস।
১০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্কোরবোর্ডে কোন রান না তুলেই ফিরে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশের তিন ব্যাটসম্যান। এরপর ৩৯ ও ৭৭ রানে পড়ে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট। এমন ম্যাচই শেষ পর্যন্ত সোহানের অপরাজিত ৪১ রানে ৫ উইকেটে জয় পায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
এখনো পর্যন্ত বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্নের নাম। সর্বশেষ ম্যাচে তামিম একাদশের শেখ মেহেদী হাসানের ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর নাজমুল একাদশের মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরিই কেবল ব্যাটসম্যানদের বিজ্ঞাপন। এমন হতাশাময় টুর্নামেন্টেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনুভব করছেন নুরুল হাসান সোহান। বিশেষ করে তার নিজের সাথে নিজের লড়াইটাই বেশি চলছে বলে জানান।
সবসময়ই এমনটা করেন উল্লেখ করে ২৬ বছর বয়সী এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে সবাই পারফর্ম করছে এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। আর প্রতিযোগিতা যদি ধরতে হয় তাহলে সবসময় আমি চেষ্টা করি নিজের সঙ্গে নিজের প্রতিযোগিতা করার। এতে নিজের যে দুর্বলতাগুলো আছে আর স্কিল আছে সেগুলো অনেক বেশি উন্নতি করার সুযোগ থাকে।’
জাতীয় দলের জার্সিতে ৩ টেস্ট, ২ ওয়ানডে ও ৯ টি-টোয়েন্টি খেলা সোহান সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। তবে দলে ফিরতে মরিয়া এই ক্রিকেটার আলাদা করে কাজ করছেন উইকেট কিপিং ও ব্যাটিং নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে সোহান যোগ করেন যেখানেই খেলেন নিজের শতভাগ দিয়েই চেষ্টা করছেন, ‘সত্যিকার অর্থে অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে আছি ঘরোয়া লিগগুলো আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ । যেকোনো টুর্নামেন্টে খেলি শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করি এবং নিজের কাছে সৎ থাকার চেষ্টা করি। দুর্বলতাগুলো যেগুলো আছে ব্যাটিং এবং উইকেট কিপিং আলাদা করে কাজ করার চেষ্টা করছি। যেখানেই সুযোগ আসুক নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো।’
এদিকে করোনা বাধা দূরে সরিয়ে দেশের ক্রিকেট ফেরাতে বিসিবির উদ্যোগের প্রশংসাও করেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান, ‘আমাদের দেশের এমন পরিস্থিতিতে এরকম একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনের খুব দরকার ছিল। কারণ আমরা প্রায় সাত মাস খেলার বাইরে ছিলাম। আমার কাছে মনে হয় এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে সবাই আবার সবার জায়গায় ফেরত আসতে পারবে। এবং অবশ্যই বিসিবিকে ধন্যবাদ এরকম একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করে আমাদের খেলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য।’