

করোনাকে পাশ কাটিয়ে শুরু হয়েছিল আগামী যুব বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বাছাইয়ের কার্যক্রম। ৪৬ জন ক্রিকেটার নিয়ে শুরু হওয়া ক্যাম্প সংক্ষিপ্ত করে ২৮ জনে আনা হয়। আর তাদের নিয়েই নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য যুব এশিয়া কাপের দল গঠনের লক্ষ্যে এক মাসের স্কিল ক্যাম্প শুরু হয়েছিল ১ অক্টোবর থেকে। কিন্তু যুব এশিয়া কাপ স্থগিত হওয়ায় কমছে ক্যাম্পের দৈর্ঘ্য। যা চার সপ্তাহের পরিবর্তে তিন সপ্তাহ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এদিকে চলমান এই ক্যাম্পে কয়েকজন ক্রিকেটারের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত বুধবার থেকে বন্ধ আছে অনুশীলনও। তাদের সংস্পর্শে আসাদেরও বর্তমানে আইসোলেটেড করা হয়েছে। করোনা টেস্ট সম্পন্নের পরই পুনরায় শুরু করা হবে অনুশীলন।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার আবু এনাম মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘যে দুই একজনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাদেরকে আইসোলেটেড করে রেখেছি ওদের রুমমেটকেও আসোলেটেড করে রেখেছি। তারপর সর্তকতার অংশ হিসেবে বাকিদেরও দেখতে চাচ্ছি। সাধারণত আমরা যেটা করি শুধু যারা সাসপেক্টেড তারা না, সাপোর্টেড যারা থাকে যারা ওখানে কাজ করছে সবাইকেই এর আওতায় নিয়ে আসি। শনিবার-রোববার থেকে আবার শুরু করবো যদি দরকার হয় আরও একদিন বাড়াব।’
এদিকে অনুশীলন বন্ধের ব্যাপারে গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আরও বলেন, ‘আমদের দুদিন অনুশীলন বন্ধ ছিল। বুধবার, বৃহস্পতিবার দুদিন অনুশীলন বন্ধ রেখেছি শুক্রবার তো আমদের অফ থাকে। আরও একটা বিষয় হলো করোনা ঠিক বলবো না দুই একজন ক্রিকেটারে মাঝে উপসর্গ দেখেছি যারা যারা ওদের সংস্পর্শে ছিল বিশেষ করে একটা রুমের মধ্যে এক ক্রিকেটার হাঁচি-কাশি দিচ্ছে।’
‘তো ঐ রুমের অন্য ক্রিকেটারদেরও দিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছি। আর আমরা একটা টেস্ট (করোনা) করে সব টেস্ট করার পরে আমারা আবার অনুশীলন শুরু করবো। আমরা সতর্কতার অংশ হিসেবে অনুশীলনটা বন্ধ রেখেছি।’
এদিকে ক্যাম্পের দৈর্ঘ্য কমানোর বিষয়ে তিনি জানান, ‘আমরা চিন্তা করছি যেহেতু এশিয়া কাপটা পিছিয়ে গেছে তো আমাদের ক্যাম্পটা হওয়ার কথা ছিল ৪ সপ্তাহের আমারা এটার সময়কাল কমাব। হয়তো তিন সপ্তাহ করে ট্রেনিংটা শেষ করবো, এটা আমাদের পরিকল্পনা।’