

দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে সাদা বলের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেই মুখ থুবড়ে পড়ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের প্রথম দুটি ম্যাচই হয়েছে ম্যাড়ম্যাড়ে। গতকাল (১৩ অক্টোবর) নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে মাত্র ১০৩ রানেই গুটিয়ে যায় তামিম একাদশ। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ একাদশও হারায় ৫ উইকেট, শুরুটা হয় ভুলে যাবার মত।
বৃষ্টি আর কুয়াশার মিশেলে মিরপুরের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য কিছুটা কঠিন ছিল তবে সেটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে নারাজ তামিম একাদশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিজেদের বেশিরভাগ উইকেটের ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ বোলারের কৃতিত্বের চাইতে ব্যাটসম্যানদের শট নির্বাচনে দুর্বলতাকেই দায়ী করেছেন তামিম। তামিম নিজে রুবেল হোসেনের যে বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন সেটায় আউট হতে পারতো যেকোন সেরা ব্যাটসম্যানই।
ফলে নিজের উইকেট ছাড়া বাকিসব উইকেটের দায় ব্যাটসম্যানদেরই দিলেন টাইগারদের ওয়ানডে কাপ্তান। ম্যাচ পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয়, আমার পর আপনি বাকি ৮-৯ টা উইকেট যদি দেখেন একটাও উইকেট টেকিং ডেলিভারি ছিলনা। সত্যিকার অর্থেই পুওর শট ছিল। যে কারণে আমাদের পরিস্থিতি এমন হয়েছে। উইকেট একটা বিষয় ছিল কিন্তু এ ধরণের পরিস্থিতিতে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, কিছু জুটি গড়তে হয়। এরকম উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৮০-৯০ রান থাকলে বোলাররা সুযোগ নিতে পারে।;
এদিকে ১০৩ রানের পুঁজি নিয়েও বেশ দারুণ লড়াই করেছে তামিম একাদশের বোলাররা। স্কোরবোর্ডে কোন রান তুলতে না দিয়েই ফেরায় প্রতিপক্ষের তিন ব্যাটসম্যানকে। ৭৭ রানের মধ্যে তুলে নেয় আরও দুই উইকেট। কিন্তু মুমিনুল হকের ৩৯ রানের সাথে নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ৪১ রানে ভর করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। যদিও স্লিপে দাঁড়ানো তামিম ইকবাল সোহানের সহজ ক্যাচ ফেলেন শূন্য রানেই।
বোলারদের প্রশংসা করে এমন পরিস্থিতির ম্যাচ জিততে সব সুযোগই লুফে নেওয়া জরুরী বলে মনে করেন অধিনায়ক তামিম একাদশের অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংস (বোলিং) নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট। আমরা কখনোই হাল ছাড়িনি, আপনি জানেন ১০৩ অবশ্যই একদম কম পুঁজি। সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে এই রানেই লড়াই করতে।’
‘এ ধরণের ম্যাচগুলো জিততে হলে সবগুলো সুযোগ কাজে লাগাতে হয়। সোহান ০ রানে একটা ক্যাচ দিয়েছে ওটা যদি নিতে পারতাম, ভিন্ন কিছু হতে পারতো। এটা ছোট একটা টুর্নামেন্ট, আমাদের হাতে আগামীকাল সময় আছে হয়তো ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকবে। এর পরদিন আশাকরি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো।’