

তথ্য গোপনের অভিযোগে এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকা সাকিব আল হাসান মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে টাইগার অলরাউন্ডারের। নিজেকে মাঠে ফেরার মত ফিট করতে ইংল্যান্ডে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করার কথা ছিল বেশ কিছুদিন আগেই। তবে করোনা প্রভাবে সে পরিকল্পনায় এসেছে বদল। ইংল্যান্ডে নয়, আগামী মাসে বিকেএসপিতেই (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠ) শুরু করবেন অনুশীলন।
আইসিসির আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বিসিবির কোন সুযোগ সুবিধাই ব্যবহার করতে পারবেন না সাকিব। নিজেকে প্রস্তুত করতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে করতে হবে ট্রেনিং। আর সে কারণেই ইংলিশ কাউন্টি ক্লাবের সাথে যোগাযোগও করেছিলেন।
পরিকল্পনামতে দেশ থেকে উড়িয়ে নেওয়ার কথা ছিল গুরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। তাদের সাথে যোগ দেওয়ার কথা পাকিস্তানের সাবেক তারকা অফ স্পিনার সাকলাইন মুশতাকের।
কিন্তু করোনা বাধার পর পরিকল্পনায় বদল আনা সাকিব নিজের পুরোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে ফিরবেন। সাকিবের শুরুর দিকের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেন,
‘সাকিব আগামী মাসে বিকেএসপিতে আসবে, যেখানে তার কোচ ও প্রশিক্ষক উপস্থিত থাকবে।’
‘আমাদের সব কোচ বিকেএসপির ভেতরেই থাকে ফলে কাজ করা নিয়ে সমস্যা হবেনা। এ ক্ষেত্রে সাকিবের হাতে সব ধরণের সুযোগ সুবিধাই থাকবে।’ যোগ করেন বিকেএসপির গুণী এই কোচ।
দীর্ঘদিন বিকেএসপির কোচ হিসেবে কাজ করা নাজমুল আবেদীন ফাহিম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথেও নানা ভূমিকায় কাজ করেন লম্বা সময়।
গতবছর আবারও বিসিবি ছেড়ে বিকেএসপিতে ক্রিকেট উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। সাকিব আল হাসান বিকেএসপিতে থাকাকালীন তার অধীনে কোচিং করেন। বর্তমানে আমেরিকাতে অবস্থানরত সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বড় প্রভাব আছে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও মোহামদ সালাউদ্দিনের।
অক্টোবরে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই সাকিব আল হাসানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে। নিজেকে খেলার মত ফিট বলে প্রমাণ করতে পারলেই ২৯ অক্টোবরের পর টাইগারদের হয়ে নেমে পড়তে পারবেন সাকিব। বিসিবি থেকেও দেওয়া হয়েছে এমন আভাসই।
অক্টোবরে লঙ্কা সফরে যাওয়া বাংলাদেশের কোয়ারেন্টাইন ও অনুশীলন ম্যাচ শেষে নভেম্বরে মূল সিরিজ খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়া সাকিবের জন্যও থাকবেনা বাধা।