

আকবর আলির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যুব দল বর্তমান যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। ফলে পরবর্তী বিশ্বকাপে বাড়তি প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে। অথচ করোনা প্রভাবে দল নির্বাচনের প্রক্রিয়াই শুরু করতে পারেনি বিসিবি।
করোনা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসলেও আর বসে থাকতে নারাজ দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। জাতীয় দল ও এইচপি ক্যাম্পের প্রোগ্রাম কবে নাগাদ শুরু হবে অনিশ্চিত। তবে ২২ আগস্ট থেকে ১ মাসের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হচ্ছে যুব দলের।
বিকেএসপিতে এক মাসের এই ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে ৪৫ জন ক্রিকেটার। তবে তার আগে করোনা টেস্টে উতরেই ক্যাম্পের জন্য বিবেচিত হবেন তরুণ প্রতিভা। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এইএম কায়সার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্প শুরুর সব প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। ২২শে আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে ৪৫ জন ক্রিকেটার নিয়ে এই ক্যাম্প চলবে বিকেএসপিতে।’
আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে করোনা টেস্ট, ‘এখন থেকেই আমরা নতুন যুবদল গঠনে একটি প্রথমিক স্কোয়াড বেছে নিবো। তবে তার আগে সব ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের কোভিড-১৯ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক। এই পরীক্ষা শুরু হবে ১৬ই আগস্ট থেকে। যদি কেউ পজিটিভ প্রমাণিত হয় সে ক্যাম্পে জায়গা পাবে না।’
শুধু ক্রিকেটার নয় এই ক্যাম্পের সাথে জড়িত সবারই করোনা টেস্ট হবে উল্লেখ করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্যাম্প পরিচালনায় বাইরে থেকে যারা বিকেএসপিতে যাবে তাদেরও এই টেস্টে পাশ করতে হবে। এক কথায় কোচ থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের রান্নার দায়িত্বে থাকা বাবুর্চি পর্যন্ত সবাইকে এই টেস্ট করতে হবে। সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’
ক্যাম্পের শুরুতে থাকবে ফিটনেস ট্রেনিং পর্যায়ক্রমে থাকবে অনুশীলন ম্যাচও। এইএম কায়সার বলেন ‘শুরুতেই থাকবে ফিটনেস ট্রেনিং। এরপর স্কিল ও শেষ বা তৃতীয় ধাপে হবে ম্যাচ অনুশীলন। এই ম্যাচ থেকেই বেছে নেয়া হবে নতুন অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বকাপ এখনো অনেক দূরে ২০২২-এ। তবে বলতে পারেন এখান থেকেই বিশ্বকাপের জন্য একটি দল বেড়ে উঠবে।’