

প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও দলের বিপর্যয়ে দারুণ এক ফিফটি হাঁকান আয়ারল্যান্ড ব্যাটসম্যান কুর্টিস ক্যাম্ফার। নিজের প্রথম দুই আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতেই ফিফটির দেখা পেয়েও অবশ্য দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি। ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর ৮১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ২১৩ রানের সহজ লক্ষ্যটা ৩২.৩ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় ইংল্যান্ড। যদিও স্কোরকার্ডের মত সহজ জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড এমনটা বলার উপায় নেই। ১৩৭ রানেই ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ভিন্ন কিছুর আভাস দিচ্ছিল আইরিশরা। তবে স্যাম বিলিংস ও ডেভিড উইলির ৭৯ রানের জুটিতে নিরাপদেই পথ পাড়ি দেয় ইংল্যান্ড।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই ওপেনার জেসন রয় ফিরেছেন কোন রান না করে। তবে অন্যপ্রান্তে ক্ষ্যাপাটে জনি বেয়ারস্টো। শুরু থেকেই আইরিশ বোলারদের তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকেন। মাত্র ২১ বলে ফিফটিতে পৌঁছানো এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান জশুয়া লিটলের বলে আউট হয়েছেন ৪১ বলে ১৪ চার ২ ছক্কায় ৮২ রান করে। ততক্ষণে ইংল্যান্ড স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩১ রান।
বেয়ারস্টোর বিদায়ের পর বাঁহাতি পেসার লিটল দ্রুতই ফেরান অধিনায়ক এউইন মরগান ও মইন আলিকেও। দুজনেই ফিরেছেন খালি হাতে, ইংল্যান্ড পরিণত হয় ৬ উকেটে ১৩৭ রানে। তখনো জয় থেকে ৭৬ রান দূরে ইংলিশরা, আইরিশদের সামনে ভালো সুযোগ থাকলেও অবশ্য কাজে লাগেনি। স্যাম বিলিংস ও ডেভিড উইলি আর কোন বিপদে পড়তে দেয়নি ইংল্যান্ডকে। ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন বিলিংস, ৪৭ রানে ডেভিড উইলি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাউদাম্পটনে কুর্টিস ক্যাম্ফারের ৬৮ রানের ইনিংসে ৯ উইকেতে ২১২ রানের পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। ৯১ রানে ৬ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড দুই’শ পেরোয় ক্যাম্ফারের টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে। ৮৭ বলে ৮ চারে ৬৮ রানের ইনিংসটি খেলেন ক্যাম্ফার। প্রথম ম্যাচে খেলেছেন ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।
শেষদিকে সিমি সিং (২৫) ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (২৪) খেলেন ছোট তবে কার্যকরী দুই ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে আদিল রশিদের শিকার ৩৪ রানে তিন উইকেট। যার ফলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই লেগ স্পিনার।
এছাড়া আগের ম্যাচে ফাইফার তুলে নেওয়া ডেভিড উইলি ও সাকিব মাহমুদ সমান দুটি করে উইকেট নেন। রিস টপলে ও জেমস ভিন্স ভাগাভাগি করেন একটি করে উইকেট। ২-০ ব্যবধানে ইতোমধ্যে সিরিজ জিতে নেওয়া ইংল্যান্ড আগামী ৪ আগস্ট তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে একই ভেন্যুতে মুখোমুখি হবে আইরিশদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড:২১২/৯ ( ৫০ ওভার), স্টারলিং ১২, ডেলানি ০, বালবির্নি ১৫, টেক্টর ২৮, ও’ব্রায়েন ৩, টাকার ২১, ক্যাম্ফার ৬৮, সিমি ২৫, ম্যাকব্রাইন ২৪, ইয়ং ২*; উইলি ১০-১-৪৮-২, টপলে ৯-১-৩১-১,মইন ৮-০-২৭-০, ভিন্স ৪-০-১৮-১, রশিদ ১০-০-৩৪-৩, মাহমুদ ৯-০-৪৫-২।
ইংল্যান্ড: ২১৬/৬ (৩২.৩ ওভার , রয় ০, বেয়ারস্টো ৮২, ভিন্স ১৬, ব্যান্টন ১৫, বিলিংস ৪৬*, মরগান ০, মইন ০, উইলি ৪৭*; ইয়ং ৯-০-৬৮-১, লিটল ১০-৩-৬০-৩, ম্যাকব্রাইন ৫-০-৩৩-০, ক্যাম্ফার ৬.৩-১-৫০-২, সিমি ২-০-৩-০।
ফল: ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরাঃ জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড)