

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে কয়েকবার বিদায় বলেও ফিরে এসেছেন। তবে ২০১৬ সালে পাকাপাকিভাবে চলে যান অবসরে, যদিও এখনো বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টে বেশ সরব পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। আফ্রিদি বলছেন ভক্তদের ভালোবাসাই ৪০ বছর বয়সেও সবধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরে না যাওয়ার কারণ।
প্রায় দুই যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার, ঘরোয়া ক্রিকেট ও বর্তমান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হিসাব করলে সময়টা আরও বেশি। অথচ ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে তাকে নিয়ে আগ্রহে ভাটা পড়েনি এখনো। বয়স ৪০ পেরোলেও নিজেকে ফিট বলেই দাবি শহীদ আফ্রিদির।
সবধরণের ক্রিকেটকে এখনই বিদায় বলতে পারছেন না ভক্তদের ভালোবাসার কারণেই। সম্প্রতি পাকিস্তানি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘সত্যি বলতে মন চায় এখনই থেমে যাই। কিন্তু ভক্তরা চায় যতদিন ফিট থাকি আমি যেন খেলে যাই। ভক্তরা মাঠে দেখতে চান আমাকে। আমার বাড়ির লোকজন, পরিবারের সবাই বলে, ফিটনেস যেহেতু আছে, খেলা যেন চালিয়ে যাই।’
দুই যুগের বেশি সময় খেলে যাচ্ছেন, তবে ক্রিকেটের প্রতি তীব্রতা এখনো কমেনি। ফিট থাকলে অন্তত আরও কয়েক বছর খেলার ইচ্ছে পাকিস্তানের জার্সিতে ৫২৪ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আফ্রিদির, ‘একটা ব্যাপার হলো, এখনও ক্রিকেটের প্রতি আমার আবেগ তীব্র। এখনও ক্রিকেটে থাকতে চাই, ক্রিকেটের সঙ্গে চলতে চাই। আরও ২-১ বছর দেখব, ফিটনেস কেমন থাকে। যদি ফিট থাকি, দলের ওপর বোঝা না হয়ে যাই, তাহলে খেলে যাওয়াই উচিত। উপভোগ করাটাই আসল, জোর করে খেলে যাব না।’
গত বছর টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে শুধু সাদা বলেই খেলবেন বলে ঘোষণা দেন পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির। তার এমন সিদ্ধান্তে দেশটির বেশিরভাগ সাবেক ক্রিকেটারই চটেছেন। তবে শহীদ আফ্রিদি বলছেন আমির সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।
নিজের মতের পেছনে দিয়েছেন ব্যাখ্যাও, ‘আমার মনে হয়, আমির সঠিক কাজই করেছে টেস্ট ছেড়ে দিয়ে। সে নতুন বল সুইং করাতে পারে কিন্তু পুরোনো বলে ততটা কার্যকর নয়, গতি কম হওয়ার কারণে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এভাবে চলতে পারে, কিন্তু টেস্টে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরতে হয়। এখানেই আমিরের কাজ ছিল কঠিন।’