

ভারতীয় জনপ্রিয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মনে করেন বর্তমান সময়ে ক্যারিয়াত শুরু করলে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগই পেতেন না। সাবেক ক্রিকেটাররা ব্রডকাস্টিং ক্যারিয়ারকে পেশা হিসেবে নিতে শুরু করায় এমন মতামত ব্যক্ত করেন তিন দশক ধরে ধারাভাষ্যের সাথে যুক্ত থাকা এই ক্রিকেট বিশ্লেষক।
ক্রিক কাস্ট নামক একটি ইউটিউব শো তে আলাপচারিতায় হার্শা ভোগলে শুনিয়েছেন তার ধারাভাষ্য ক্যারিয়ারের শুরুর গল্প। বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাচে তার দলের জন্য ধারাভাষ্য দেওয়া হার্শা ক্যাসেট প্লেয়ারটি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে পাঠান।
এভাবেই ধারাভাষ্য ক্যারিয়ার শুরুর গল্প শোনান হায়দ্রাবাদে জন্ম নেওয়া সময়ের অন্যতম সেরা এই ধারাভাষ্যকার। তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের ম্যাচের জন্য ক্যাসেট প্লেয়ার নিয়েছিলাম। আমাদের দলের ওপেনাররা যখন খেলছিল তখন আমি ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম।’
‘পরে এটি আমি অল ইন্ডিয়া রেডিওকে দিয়েছি। হায়দ্রাবাদ একটি শহর তবে ওখানে সবাই সবাইকে চেনে বলে এটি একটি বড় গ্রাম। আমার মাথায় কাজ করছিল যে আমার বাবা কারও সাথে কথা বলছে যে তার ছেলে আসবে এবং তাকে একটি টেপ দিবে ও শুনতে বলবে। তাই আমি টেপটি তাকে দিয়েছি।’
ভয়েজ অফ ইন্ডিয়া খ্যাত হার্শা ভোগলে তিন দশক ধরে উপস্থাপনা, ধারাভাষ্য ও কলাম লেখক হিসেবে কাজ করছেন। রেডিও ধারাভাষ্য দিয়ে শুরু করে টেলিভিশন ধারাভাষ্যে নতুন মাত্রা যোগ করাদের একজন হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে শীর্ষ ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হিসেবে সমাদৃত ভারতীয় এই ধারাভাষ্যকার।
১৯ বছর বয়সে রঞ্জি ট্রফির ধারাভাষ্য দেওয়া হার্শা ভোগলে ১৯৯১-৯২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনে (এবিসি) কাজ শুরু করেন। এরপর ভিডিও ম্যাগাজিন, বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লেখা দিয়ে পথ চলাটা নিয়মিত হয়। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানো এই খ্যাতিমান বলছেন বর্তমান সময়ে শুরু করলে হয়তো সুযোগই পেতেন না।
৫৯ বছর বয়সী এই ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপক বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে খেলোয়াড়েরা তখনও ধারাভাষ্যে নিয়মিত হয়নি। আর আমার দূরদর্শনের (রেডিও) অভিজ্ঞতা ছিল। সুতরাং খেলোয়াড়েরা এই পেশায় সক্রিয় হওয়ার আগে আমি একটি সুযোগ পেয়েছি। যদি আমি এখন শুরু করার চেষ্টা করতাম তবে কোন ম্যাচই পেতাম না।’