

আকরব আলির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ যুবদল বিশ্বকাপ জয় করে ঘরে ফিরেছে ৬ মাস হতে চলেছে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বলে ২০২২ সালে পরবর্তী আসরে টাইগার যুবাদের কাঁধে থাকবে বাড়তি দায়িত্ব ও প্রত্যাশা। তবে করোনা প্রভাবে এখনো বিশ্বকাপ লক্ষ্য করে দলই তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
করোনা প্রভাব দূরে সরিয়ে ধীরে ধীরে সচল হতে চলেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। বিসিবির অনুমতি সাপেক্ষে ব্যক্তিগত অনুশীলন করেছে ১৩ ক্রিকেটার। তাদের দেখানো পথে ঈদের পরের পর্বে সংখ্যাটা বাড়তে যাচ্ছে। এদিকে দলীয় অনুশীলনও শুরু করার সব পরিকল্পনা প্রস্তুত বিসিবির। জাতীয় দলের সাথে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি)ও ভবিষ্যত যুব দল গঠনের কাজও শুরু হচ্ছে ঈদের পর।
আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ৪৫ জন ক্রিকেটার নিয়ে বিকেএসপিতে তিন সপ্তাহের ক্যাম্প করা হবে। অনুশীলন ও বেশ কিছু ম্যাচ আয়োজনের পর সেখান থেকে যাছাই বাছাইয়ের পর সংখ্যাটা কমে আসবে। মিরপুরে করোনা টেস্টের পরই ক্রিকেটারদের বিকেএসপিতে পাঠানো হবে। ১৬ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত করোনা টেস্ট করার কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কাওসার বলেন, ‘আমরা মূলত যুব ক্রিকেট লীগের মাধ্যমেই অনূর্ধ্ব-১৯ দল গঠন করে থাকি। কিন্তু করোনার কারণে যেহেতু এবার প্রতিযোগিতাটি হয়নি, তাই আমরা ক্যাম্পের মাধ্যমেই দল নির্বাচন করবো। সাধারণত আমরা প্রাথমিক স্কোয়াডে ৩০ জনের বেশি রাখি না।’
‘কিন্তু এবার অন্যভাবে আমাদের স্কিলফুল খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হচ্ছে, যার কারণে আমরা ৪৫ জনকে ক্যাম্পে রাখবো। ক্যাম্পে ওদের স্কিল নিয়ে কাজ করে তৃতীয় কিংবা চতুর্থ সপ্তাহে কিছু ট্রায়াল ম্যাচ খেলে ওখান থেকেই হয়তো ২৫-৩০ জনের একটি দল গঠন করা হবে।’
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের আসরে খেলতে যাবে টাইগার যুবারা। আর এ কারণেই প্রস্তুতি হওয়া চাই সেরা মানের মনে করেন গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার, ‘আমরা সাধারণত প্রস্তুতির জন্য ১৮ মাস পাই। কিন্তু করোনার কারণে আমাদের তিন মাস চলে গেছে। এখনই বিকেএসপিতে ক্যাম্পটা শুরু করতে না পারলে দল গঠন বাধাগ্রস্ত হবে এবং ২০২২ সালের যুব বিশ্বকাপের যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হবে না।’
‘আমরা আগামীবার চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে যাবো। আমাদের প্রস্তুতিটা ভালো হওয়া খুবই জরুরি। এই প্রক্রিয়াটি যদি আমরা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি শেষ করতে পারি, তাহলে হয়তো প্রস্তুতি নিতে দেড় বছর সময় পাওয়া যাবে।’