

করোনা পরবর্তী ‘দ্য নিউ নরমালে’ সব ক্ষেত্রেই আসছে পরিবর্তন। সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য আইপিএলের এবারের আসরে থাকছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কড়া নিয়মকানুন। শুরুর দিকে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে ড্রেসিংরুম সব জায়গাতেই বেঁধে দেওয়া হচ্ছে কিছু নিয়ম।
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর সময়কালে ৫১ দিনের উইন্ডোতে আইপিএলের ১৩ তম আসর মাঠে গড়াবে। কোভিড-১৯ প্রভাবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলবে দলগুলো অনুমেয়ই ছিল। স্টুডিওতে ধারাভাষ্যকারদের মেনে চলতে হবে অন্তত ৬ ফুট দূরত্ব।
ড্রেসিং রুমে থাকা যাবেনা ১৫ ক্রিকেটারের বেশি, ম্যাচ পরবর্তী পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও ডাগ আউটেও যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায়ে উৎসাহী করা হবে। অন্যদিকে ক্রিকেটারদের দুই সপ্তাহে অন্তত চারবার করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
এসব নিয়মকানুন বিসিসিআই কর্তৃক প্রস্তুত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) এর কয়েকটি মূল নিয়ম। ‘বায়ো-সিকিউরিটি’ প্রক্রিয়ায় একবার ঢুকে গেলে ক্রিকেটারদের বের হওয়ার সুযোগ থাকবেনা। সঙ্গে থাকা বান্ধবী কিংবা স্ত্রী এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকপক্ষও থাকবে একই নিয়মের অধীনে।
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা ‘দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ কে বলেন, ‘বায়ো-বাবলে কেউ একবার ঢুকে পড়লে তার আর সেটি ভাঙার সুযোগ নেই কিংবা পুনরায় যোগ দেওয়ারও। বিসিসিআই এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি স্ত্রী বা বান্ধবী ক্রিকেটারদের সাথে ভ্রমণ করবে কীনা। আমরা এ বিষয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের উপর ছেড়ে দিয়েছি। তবে আমরা এমন একটা প্রক্রিয়া তৈরি করছি যেখানে খেলোয়াড়দের বহনকারী বাস চালককেও বায়ো-বাবল মেনে চলতে হবে।’
‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আগামী সপ্তাহে মিটিং এর সময় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) হস্তান্তর করবো আমরা। তাদের যদি কোন অভিযোগ থাকে তবে তারা আমাদের জানাতে পারবে এবং এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকবে।’
এসওপি বলছে ক্রিকেটারদের ভারতে থাকতে দুটি এবং আরব আমিরাতে পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন আরও দুটি করোনা টেস্ট করা হবে। এসওপি তৈরি করা হয়েছে সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড – ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রস্তুত করা নিয়মকানুন অনুসরণ করে।