

২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নেমেছিলেন। আগের তিন বিশ্বকাপের ঠিক সাকিবময় পারফরম্যান্স করতে না পারার আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন বেশ ভালোভাবেই। ব্যাট হাতে ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান, বল হতে ১১ উইকেট। দলীয় ব্যর্থতায় টুর্নামেন্ট সেরার পুরষ্কারই হয়তো হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের পোস্টারবয়ের।
তবে সাকিব নিজে ভালো করার সব আয়োজন প্রস্তুত করে রেখেছিলেন বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগেই। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বেঞ্চেই কাটাতে হয়েছিল বেশিরভাগ সময়। তখন থেকেই নিজেকে বিশ্ব মঞ্চে প্রমাণের তাগিদে কাজ শুরু করেন। সেসব গল্প নিজেই অনেকবার বলেছেন বিশ্বকাপ পরবর্তী বিভিন্ন সময়। গতকাল (২৭ জুলাই) ফেসবুক লাইভে সতীর্থ ও ব্যবসায়িক অংশীদার ইমরুল কায়েস দিলেন সাকিব সম্পর্কে ভিন্ন এক তথ্য।
জাতীয় দলের সতীর্থ, দুজনে ভালো বন্ধুও। সবশেষ সাকিব’স ৭৫ রেস্টুরেন্টের অংশীদার হয়ে দুজনের সম্পর্ক পেল ভিন্ন পরিচয়ও। গতকাল (২৭ জুলাই) নিজেদের সাকিব’স ৭৫ রেস্টুরেন্টের ফেসবুক পেইজে লাইভে ইমরুল কায়েস জানালেন বিশ্বকাপের আগে সাকিব তার ফোনে লিখে রেখেছিল নিজের জন্য নয় দেশের জন্য ক্রিকেট খেলবেন।
এ প্রসঙ্গে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘সাকিবের বিষয়ে সবাইকে আমি এই বার্তাটা দিতে চাই, যেটা আমার শুনে খুব ভালো লাগছিল। রাত তখন দশ-এগারোটা বাজে। আমাকে ফোন দিল, ‘তুই কোথায়?’ আমি বললাম, ‘বাসায়’। বলল, ‘রেস্টুরেন্টে আয়, কথা আছে’। রেস্টুরেন্টে বসে একসাথে কথা বলছি। ওকে বললাম, ‘তুই যে খেলা খেলেছিস (বিশ্বকাপে) এরপর এটা আমাদের দুর্ভাগ্য যে দলীয়ভাবে ভালো করতে পারিনি, দল ভালো করলে তোর আরও বড় ইনিংস দেখতে পারতাম। তোর মাইন্ড সেটআপ কী ছিল?’
‘সাকিব বলল- ‘আমি যখন আইপিএলে বসে ছিলাম, হায়দ্রাবাদের হয়ে ম্যাচ খেলিনি, তখন আমার ভেতরে কাজ করছিল যে আমি আলাদাভাবে আমার পারফরম্যান্স দেখাবো’। ও আমাকে দেখাল, ফোনের ভেতর লিখে নিয়েছিল- নিজের নামের জন্য ক্রিকেট খেলবে না, দেশের জন্য ক্রিকেট খেলবে। ও বলল, ‘আমি জিনিসটা প্রতিদিন দেখতাম। ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন দেখতাম। আমি আমার নামের জন্য ক্রিকেট খেলবো না, আমি আমার দেশের জন্য ক্রিকেট খেলবো।’
‘কথাটা শুনে আমার খুব ভালো লেগেছে। একজন খেলোয়াড় কতটা নিবেদিত প্রাণ হলে বা ভালো করার কতটা ইচ্ছা থাকলে এমন সফল হতে পারে। আমি ওর কথাতেই বুঝে গেছি, কেন বিশ্বকাপে এত ভালো করেছে।’ যোগ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।