

৫৭ বছর ধরে চলে আসা উইজডেন ট্রফির যাত্রা শেষ হয়েছে২৮ জুলাই। এরপর থেকে এই ট্রফির নাম বদলে হবে রিচার্ডস-বোথাম ট্রফি। এই সময়ে স্কাই স্পোর্টসের ক্রিকেট ডিবেট প্যানেল বেছে নিয়েছে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলটাইম একাদশ।
মার্ক বুচারের অনুরোধে ডমিনিক কর্ক, লিডিয়া গ্রিনওয়ে ও কোর্টনি ওয়ালশ তাদের নিজেদের মত করে একাদশ দেন। পরে সবার টা মিলিয়ে একটি একাদশ প্রকাশ করে তারা।
একাদশ নির্বাচনে নিয়ম ছিল প্রত্যেক দল থেকে অন্তত ৪ জন করে ক্রিকেটার থাকতে হবে, সাথে একজন স্পেশালিস্ট উইকেটরক্ষক ও স্পিনার থাকা লাগবে।
ওপেনিংয়ে গর্ডন গ্রিনিজ, তিনে ভিভ রিচার্ডস ও চারে ব্রায়ান লারাকে খেলাতে সবারই মত ছিল। পেস বোলিং আক্রমণে সঙ্গত কারনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের আধিপত্য, একমাত্র ইংলিশ হিসাবে আছেন জিমি অ্যান্ডারসন।
বিস্ময় হিসাবে এসেছে কর্ক, গ্রিনওয়ে ও ওয়ালশের উইকেটরক্ষক হিসাবে জ্যাক রাসেলকে বেছে নেওয়া। গ্লুচেস্টারশায়ারে একসাথে খেলেছেন, কাছ থেকে জ্যাক রাসেলকে দেখেছেন ওয়ালশ। তাই তাকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
একাদশে নিজেকে রাখেননি ওয়ালশ, যদিও বাকি দুজন রেখেছেন। কার্টলি অ্যামব্রোসকে যদিও রেখেছেন তিন জনই।
ম্যালকম মার্শাল জায়গা পেয়েছেন একাদশে। ইয়ান বোথাম, মাইকেল হোল্ডিং, জোয়েল গার্নার, অ্যান্ডি রবার্টসরা জায়গা পাননি।
ডেসমন্ড হেইন্স, স্যার অ্যালিস্টার কুক, গ্রাহাম গুচের মধ্যে ওপেনার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন গুচ। মিডল অর্ডারে অ্যালান লাম্ব, গ্রাহাম থর্প, কেভিন পিটারসেনের লড়াইয়ে জিতেছেন পিটারসেন।
একাদশে নিয়ম অনুযায়ী কোন বিশেষজ্ঞ স্পিনার না থাকলেও একাদশে থাকা সোবার্স বাঁহাতে স্পিন করতে পারতেন।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ মিলিত অল টাইম টেস্ট একাদশ-
গ্রাহাম গুচ (ইংল্যান্ড), গর্ডন গ্রিনিজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ভিভ রিচার্ডস (অধিনায়ক, ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ব্রায়ান লারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), কেভিন পিটারসেন (ইংল্যান্ড), গ্যারি সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জ্যাক রাসেল (উইকেটরক্ষক, ইংল্যান্ড), ম্যালকম মার্শাল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জিমি অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড), কার্টলি অ্যামব্রোস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও কোর্টনি ওয়ালশ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।