

স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছে আয়ারল্যান্ড। ৩০ জুলাই থেকে শুরু মূল লড়াই। এর আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে অ্যান্ডি বালবির্নির দল।
সাউদাম্পটনের দ্য রোজ বোলে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে মাঠে নামে আইরিশরা। এউইন মরগানের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে সফরকারীরা।
তিন ফিফটিতে ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হবার আগে ২৯৬ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে বালবির্নি-স্টারলিংরা। পল স্টারলিং ৫৩, অ্যান্ডি বালবির্নি ৬০ রান করেন। ৪৯ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন হ্যারি টেক্টর। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ২৮ রান করেন কেভিন ও’ব্রায়েন।
লায়ন্সের পক্ষে টম হেলম ও হেনরি ব্রুকস ৩ টি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন টম কারেন,১ টি করে উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও লিয়াম ডসন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় ইংল্যান্ড লায়ন্স। ইনিংসের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন জেসন রয়। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে লোরকান টাকারকে ক্যাচ দেন রয়।
সেই ধাক্কা অবশ্য বুঝতেই দেননি ফিল সল্ট। ৫৮ বলে ১৪ চার, ২ ছক্কায় ১০০ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে সেচ্ছা অবসরে যান তিনি। তিনে নেমে ৪৩ বলে ১২ চারে সাজানো ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন জেমস ভিন্স। স্বেচ্ছা অবসরে যান তিনিও। স্বেচ্ছা অবসরে যাবার আগে ২০ বলে ৫ চারে ২২ রান করেন এউইন মরগান।
৩৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন স্যাম বিলিংস। ২০ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
৯২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লায়ন্স। ২ উইকেট পেলেও ৮ ওভারে ৭৪ রান হজম করেন মার্ক অ্যাডায়ার। সিমি সিং ৬ ওভারে ৪৩ রান খরচে পান বাকি উইকেটটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আয়ারল্যান্ড ২৯৬/১০ (৪৯.৪), স্টারলিং ৫৩, ডেলানি ১০, বালবির্নি ৬০, পোর্টারফিল্ড ৩২, টেক্টর ৫৫, কেভিন ও’ব্রায়েন ২৮, টাকার ২৬, অ্যাডায়ার ১, সিমি ০, ম্যাকব্রাইন ১৪, লিটল ২*; কারেন ৯-০-৬০-২, হেলম ৮.৪-১-৪৯-৩, ব্রুকস ৯-০-৫২-৩, লিভিংস্টোন ৭-০-৪১-১, ডসন ১০-০-৪৯-১।
ইংল্যান্ড লায়ন্স ২৯৭/৩ (৩৪.৪), জেসন ০, সল্ট ১০০ (রিটায়ার্ড নট আউট), ভিন্স ৬৬ (রিটায়ার্ড নট আউট), মরগান ২২ (রিটায়ার্ড নট আউট), ইভান্স ১৮, বিলিংস ৫৪*, লিভিংস্টোন ২৮, ডসন ২*; অ্যাডায়ার ৮-০-৭৪-২, সিমি ৬-১-৪৩-১।
ফলাফলঃ ইংল্যান্ড লায়ন্স ৯২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ী।