

শত বছরের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দুজনের রয়েছে ইনিংসে প্রতিপক্ষের সবকটি উইকেট তুলে নেওয়ার বিরল কীর্তি। ১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টারে ইংলিশ অফ স্পিনার জিম লেকার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম এই রেকর্ড গড়েন। ১৯৯৯ সালে ভারতীয় লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে পাকিস্তানের বিপক্ষে একই কীর্তি গড়ে লেকারের পাশে নাম লেখান।
দিল্লীতে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এমন অসাধারণ কিছু করার পথে অনিল কুম্বলে কৃতিত্ব দিচ্ছেন সতীর্থ বোলার জাভাগাল শ্রীনাথকেও। মূলত কুম্বলের ৯ উইকেট শিকারের পর জাভাগাল বোলিংয়ে এসে কেবল বলই ছুঁড়ে গেছেন। উইকেট নেওয়ার ছিলনা বিন্দু পরিমাণ ইচ্ছে, অনবরত ওয়াইড লেংথে করে গেছেন বল। যেন শেষ উইকেটটাও কুম্বলের ভাগে যায় এবং ভারতীয় লেগ স্পিনার গড়তে পারে অনন্য এক কীর্তি।
জাভাগালের সেই ত্যাগের কথা এতদিন পরেও স্বীকার করেন কুম্বলে। সাবেক এই লেগ স্পিনার সম্প্রতি জিম্বাবুয়ের সাবেক পেসার পমি মাঙ্গুয়ার সাথে ইনস্টাগ্রাম আড্ডায় স্মৃতচারণ করেন ঐতিহাসিক ম্যাচটির। নিজের অনবদ্য রেকর্ডে জাভাগলের অবদান তুলে ধরে কুম্বলে বলেন, ‘চতুর্থ দিন চা-পানের বিরতির পরেই আমি তুলে নেই ওদের সাত, আট ও ন’নম্বর উইকেট।’
‘এর পরেই আমার ওভার শেষ হয়ে যায়। অপর প্রান্ত থেকে বল করতে আসে শ্রীনাথ (জাভাগাল)। সেটা ওর কাছে সম্ভবত জীবনের কঠিনতম ওভার ছিল। আমি যাতে ১০ উইকেট পাই তার জন্য সে দিন ও নিজের বোলিং দক্ষতা জলাঞ্জলি দিয়েছিল। আমি কিন্তু ওকে কিছুই বলিনি। ভেবেছিলাম, পরের ওভারেই আমাকে বাকি উইকেট তুলে নিতে হবে। কারণ শ্রীনাথকে এ রকম আরও একটা ওভার করতে হলে আমার খুবই অস্বস্তি হত।’
৪৯ বছর বয়সী ভারতীয় এই কিংবদন্তী স্পিনার আরও যোগ করেন, ‘সে দিন ভাগ্য আমার সঙ্গে ছিল। সিরিজে পিছিয়ে থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এ রকম স্মরণীয় পারফরম্যান্স করে জয় ছিনিয়ে আনা সত্যিই এক বিশেষ মুহূর্ত। মধ্যাহ্নভোজের পর থেকে চা পানের বিরতি পর্যন্ত বল করে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম, আমার সামনে একটা বিরল সুযোগ এসেছে।’