

বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম তারকা বলা হয় সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে। ক্যারিয়ারে নিজের সামর্থ্য আর প্রতিভার অর্ধেকও হয়তো পরিসংখ্যানে ছাপ রাখতে পারেনি। তবে দেশের ক্রিকেটের বহু প্রথমের সাথে নিজের নামটা জড়িয়ে দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হয়ে পেয়েছেন বড় শাস্তি, যা তাকে নায়ক থেকে খলনায়ক বানিয়েছে।
বিপিএলে ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। যদিও ঘরোয়া লিগে ফেরার দরজাটা খুলেছে ২০১৬ সালেই। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে ঘরোয়া লিগে নিয়মিত হয়েছেন, স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দলে ফেরারও। ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের জাতীয় দলে ফেরার পক্ষে বিপক্ষে অবশ্য আছে ভিন্ন মত।
ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে শাস্তি পাওয়া একজন আবারও জাতীয় দলে ফিরলে বাজে উদাহরণই সৃষ্টি হবে মনে করেন তার সাবেক সতীর্থ তাপস বৈশ্য। বেশ কয়েক বছর আগেই আমেরিকা প্রবাসী বনে যাওয়া জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার আশরাফুলকে ঘরোয়া লিগে খেলতে অবশ্য উৎসাহী করেছেন।
সম্প্রতি ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ‘বিডিক্রিকটাইমের’ লাইভ আড্ডায় এ প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘আমি আশরাফুলকে সম্মান জানিয়েই বলছি। আমি জানি ও কষ্ট পাবে, অনেক কষ্ট করছে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য। তবে আমার মতে এখন মনে হয় না ওর আর এইরকম (জাতীয় দলে ফেরার) সুযোগ আছে।’
ফিক্সিং কান্ডে সাজা পেয়েও ফের জাতীয় দলে খেলার অহরহ নজির আছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। বাংলাদেশের জার্সিতে ২১ টেস্ট ও ৫৬ ওয়ানডে খেলা তাপস বলছেন এ কারণেই পাকিস্তান ক্রিকেটে ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার হার কম।
‘জানি অনেক কষ্টদায়ক। আমি যে কথাটা বলছি তা শুনতে অনেক বাজে লাগছে। পাকিস্তানে এরকমই হয় যা থেকে শিখতে পারে না। সেটা আবার হয়। আশরাফুল খেলুক, ক্রিকেট খেলুক। ও আমাদের এক সময়কার তারকা।’
‘ঘরোয়াতে খেলতে থাকুক কিন্তু জাতীয় দলে না ফেরাটাই ভালো। কারণ ঐ একটা বিষয়। এজন্য আমি দুঃখিত, ওর কাছেও দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি চাই ও ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও অনেক বছর ক্রিকেট খেলুক। তবে জাতীয় দলে আসা ঠিক হবে না। এটা ভালো উদাহরণ হবে না।’