

ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলনের প্রথম পর্ব শেষ হতে যাচ্ছে আগামীকাল (২৬ জুলাই)। দেশের চারটি ভেন্যুতে মোট ১২ জন ক্রিকেটার নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার মিশনে নেমছেন। ঢাকার বাইরের তিন ভেন্যুতে কেবল ফিটনেস নিয়েই কাজ করার অনুমতি মিলেছে। আর তাতেও খুশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আপাতত জং ধরা ফিটনেসে প্রলেপ দিতেই নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন।
গত ১৯ জুলাই থেকে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদী হাসানের সাথে লম্বা বিরতির পর মাঠে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ঈদের আগের পর্বে এক সপ্তাহের ব্যক্তিগত অনুশীলন সূচি তৈরি করে দিয়েছিল বিসিবি। ঢাকায় ব্যাটসম্যানরা স্কিল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেলেও বোলাররা কেবল রানিং আর জিমেই থাকছেন সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে সবার জন্যই কেবল রানিং, জিম বরাদ্ধ।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রানিং, জিম শেষে এক ভিডিও বার্তায় মিরাজ জানান ঘরে বসে ফিটনেসে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সেটিই আপাতত ঠিক করতে চান। দ্রুতই করোনা সংকট কাটিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক হবে এমন বিশ্বাস এই অলরাউন্ডারের, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেকদিন পর এভাবে মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। আমি মনে করছি বর্তমান যে সংকট চলছে সেটা দ্রুতই কাটিয়ে উঠবো আমরা।’
‘আমি এখন ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি কারণ শেষ তিন মাসের মত ঘরেই বসে ছিলাম। কোন কিছু করতে পারিনি, এখন একটা সুযোগ হয়েছে। চেষ্টা করছি নিজের ফিটনেসটা ধরে রাখার জন্য। রানিং, জিম এর জন্য যতটুকু সম্ভব মাঠ ব্যবহার করা দরকার ততটুকু করছি। আশা করি দ্রুত মাঠে ফিরবো, খেলাধুলা শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত অনুশীলনের প্রথম পর্বে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান রানা ব্যক্তিগত অনুশীলনের অনুমতি পেয়েছেন। ক্রিকেটারেদের আগ্রহের ভিত্তিতেই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
যেখানে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই সুবিধা পাচ্ছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও নাসুম আহমেদ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নাইম হাসান এবং খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদী হাসান।