

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে ইন্ট্রা স্কোয়াড ম্যাচ খেলছে ইংলিশরা। ১ম ম্যাচ রানবন্যার হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা।
এজেস বোলে টম ব্যান্টন অবশ্য ব্যাট হাতে ছিলেন উজ্জ্বল। ফিল্ডার ব্যান্টনও আলো ছড়িয়েছেন।
আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এউইন মরগান খেললেও এই ম্যাচে খেলেননি তিনি। মইন আলির নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে লড়া দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন জেমস ভিন্স।
২৮.৪ ওভারেই ১০৮ রানে অলআউট হয় মইন আলির দল। ২৯ রান খরচে ৩ উইকেট নেন লুইস গ্রেগরি, ২১ রান খরচে ৪ উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার লিয়াম ডসন।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি জেমস ভিন্সের দলের। শুরুর ৮ বলে ৪ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। তবে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন করেন টম ব্যান্টন। ৫৬ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
১৭.৪ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় জেমস ভিন্সের দল।
ফিল সল্ট, স্যাম হেইনরা দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ১ম ম্যাচে দাপুটে সেঞ্চুরি করা জনি বেয়ারস্টো ২১ বলে ১৩ রান করেন। বেয়ারস্টোকে ফেরাতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দারুণ এক ক্যাচ নেন ব্যান্টন।
লুইস গ্রেগরির তৃতীয় শিকারে পরিণত হবার আগে মইন আলি করেন ১৭ রান। ১ম দফায় রান না পাওয়া ফিল সল্ট ব্যাট করেন দ্বিতীয় দফা। সেদফায় ৩৭ বলে ২৫ রান করেন তিনি। ১১.২ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয় মইন আলির দল। স্পিনার লিয়াম ডসন ও আদিল রশিদ দারুণ বল করেন।
বল হাতে নিয়ে বেন ডাকেট ও স্যাম বিলিংসকে ইনিংসের প্রথম দুই বলে ফেরান ডেভিড উইলি। পরবর্তী ওভারে কারেনের বলে আউট হন জেমস ভিন্স।
শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে দলের হাল ধরেন টম ব্যান্টন, সাথে ছিলেন লরি ইভান্স। ইভান্স ২৫ রান করে আউট হলেও দলের জয় নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত উইকেটে থাকেন ব্যান্টন। অবশ্য ৩২ রানের মাথায় সুযোগ দিয়েছিলেন, তা লুফে নিতে ব্যর্থ হয় মইন আলির দল।
প্রসঙ্গত, দুই প্রীতি ম্যাচেই খেলেননি জেসন রয়। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ড লায়ন্সের হয়ে রবিবারের ম্যাচে খেলবেন রয়, সেম্যাচে খেলার কথা রয়েছে মরগানেরও।