

ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার শেষ টেস্ট ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে সমান একটি করে জয়ে দুই দলের সামনেই সিরিজ জয়ের সুযোগ। প্রথম দিন শেষে অবশ্য চালকের আসনে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। নড়বড়ে শুরুর পরেও টেস্ট ক্যারিয়ার সংশয়ে পড়া জস বাটলার ও সিরিজ জুড়ে ব্যর্থতা উপহার দেওয়া ওলি পোপের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জো রুটের দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে গতকাল (২৪ জুলাই) প্রথম দিন শেষ করে ইংলিশরা। জস বাটলারের রানে ফেরার দিনে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ওলি পোপ। বাটলার ৫৬ রানে ও পোপ ৯১ রানে অপরাজিত আছেন।
দিনের ৬ষ্ঠ বলেই ওপেনার ডমিনিক সিবলিকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে পেলেন কেমার রোচ। তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক জো রুটের আবারও কপাল পুড়েছে রান আউটে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে রস্টন চেজের সরাসরি থ্রোতে ফিরতে হয় তাকে। প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের সংগ্রহ ৬৬ রান।
৩৩ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া ররি বার্নস ফিরে এসে তুলে নেন ফিফটি। রস্টন চেজের বলে সিরিজে তৃতীয়বার আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৪৭ বলে ৪ চারে ৫৭ রান। এর আগেই ফিরে যান দ্বিতীয় টেস্টে অতিমানবীয় পারফরম্যান্স করা বেন স্টোকস। ২০ রান করে কেমার রোচের বলে বোল্ড হলে ১২২ রানেই ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
৪ উইকেটে দলীয় ১৩১ রান নিয়ে চা বিরতিতে যাওয়া জস বাটলার ৭ ও ওলি পোপ ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সিরিজে আগের ৩ ইনিংসে ৩১ রান করা ওলি পোপই দায়িত্ব নিয়ে নিলেন দলের হাল ধরার। পাশে পেলেন ক্যারিয়ার শঙ্কায় পড়া বাটলারকে। দুজনে মিলে অবিচ্ছেদ্য পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১৩৬ রান। শুরুতে ধীরে খেলা ওলি পোপ শেষদিকে হাত খুলেছেন। যদিও ব্যক্তিগত ৩০ রানে পৌঁছাতে দুইবার আউট হওয়ার হাফ চান্স তৈরি হলেও লুফে নিতে পারেনি ফিল্ডার রস্টন চেজ।
৫২ তম ওভারের প্রথম বলটি শট মিড উইকেটে ঠিকভাবে ধরে থ্রো করতে পারলেই রান আউট হতে পারতো ওলি পোপ। তবে ৬০ তম ওভারে মিড উইকেটে তুলে দেওয়া ক্যাচটা অনেকক্ষণ হাওয়ায় ভাসলেও উল্টো দিক থেকে দৌড়ানো চেজের জন্য কঠিনই ছিল। তবুও তালুবন্দি করতে পারলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকা পোপ ফিরতে হত ৩০ রানেই। এরপর অবশ্য বাকি সময়টা শুধুই পোপ-বাটলারের।
আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে শেষ সেশনে দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১২৫ রান। অথচ প্রথম দুই সেশনে স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৩১ রান। ৭৭ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তোলা পোপ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৯১ রানে। শট খেলেছেন উইকেটের চার পাশে, ১৪২ বলে হাঁকিয়েছেন ১১ চার। অন্যদিকে ১৪ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেলেন জস বাটলার। ১৫ ইনিংস পর খেললেন ১০০ বা তার বেশি বল। দিনশেষে অপরাজিত আছেন ১২০ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৫৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ প্রথম দিন শেষে
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৫৮/৪ (৮৫.৪ ওভার), বার্নস ৫৭, সিবলি ০, রুট ১৭, স্টোকস ২০, পোপ ৯১*, বাটলার ৫৬*; রোচ ১৮.৪-২-৫৬-২, গ্যাব্রিয়েল ১৮-৪-৪৭-০, হোল্ডার ২০-৫-৪৫-০, কর্নওয়াল ২১-৪-৭১-০, চেজ ৮-২-২৪-১।