

ক্রিকেট যদি ভদ্রলোকের খেলা হয় কুমার সাঙ্গাকারা হবেন তার অন্যতম বড় উদাহরণ। তবে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতমাসে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ফিক্সিং বিতর্ক নিয়ে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয় তাকে। ১০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশ্নের জবাব দেন এই লঙ্কান কিংবদন্তী। সাথে আরও কয়েকজন ক্রিকেটার ও ঐ সময়কার নির্বাচন অরবিন্দ ডি সিলভাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
যদিও লঙ্কান ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কমিটি জানিয়ে দেয় তদন্ত শেষে কোন সন্দেহের আলামত মিলেনি। পরে আইসিসিও বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় এমন স্পষ্ট কোন বিষয় তাদের নজরে আসেনি। ফলে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হওয়া লঙ্কানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করবেনা তারা।
পুরো বিষয়টিকে বিব্রতকর না বলে উল্টো খেলাটার জন্যই স্বাস্থ্যকর বলছেন কুমার সাঙ্গাকারা। ৪২ বছর বয়সী সাঙ্গাকারা ব্যাখ্যা দিয়ে ক্রিকবাজকে বলেন, ‘এটা হতাশার (জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে যাওয়া) তবে কিছুটা মজাদারও ছিল। সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী বেশ বাজে রকম একটা অভিযোগ তোলেন সম্প্রতি। আর আমাদেরকে এর প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় ও উত্তর দিতে হয়েছে।’
‘আসলে এসবের মধ্য দিয়ে যাওয়া এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, এ প্রসঙ্গে বিবৃতি দেওয়া সবকিছু খেলাটার জন্যই একটা স্বাস্থ্যকর ব্যাপার ছিল। আমিসহ তখনকার নির্বাচক, মাহেলা জয়াবর্ধনে বা অন্য যাদেরকেই এটা সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমি মনে করি এই প্রক্রিয়াগুলোর কারণে লোকেদের বুঝতে সুবিধা হবে খেলাটির প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা আসলে কী।’
২৮ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রানের মালিক সাঙ্গাকারা মনে করেন ক্রিকেটের জন্য আন্তরিক মানুষই প্রয়োজন, ‘খেলাটি আসলে এমন লোকোদের চায় যারা আন্তরিক এবং তাদের মনের কথা বলতে ভয় পায়না। আর যখন আপনার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন তখন আড়াল করার দরকার নেই, আপনি সব উত্তর দিতে পারবেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে যখন রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা থাকে এমনকি খেলাধুলাতেও সরকারি লোকজন যুক্ত থাকে তখন আপনি বুঝতে পারবেন এসব কোথা থেকে আসছে ও এসবের উদ্দেশ্য কী।’