

করোনা পরবর্তী বেশ কয়েকটি দেশেই চলছে ক্রিকেটে ফেরার প্রস্তুতি। দলগুলো শুরু করেছে ঐক্যবদ্ধ অনুশীলনও। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলে ফেলেছে দুইটি টেস্ট, সূচি চূড়ান্ত পাকিস্তানেরও। তবে এখনো দলীয় অনুশীলন শুরু করতে পারেননি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ব্যক্তিগত অনুশীলনে নিজেদের ফিটনেস, স্কিল নিয়ে অবশ্য কাজ করছেন অনেকেই। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার লক্ষ্যেই একটু সাবধানী পথ চলা বিসিবির। মূলত জাতীয় দলে পর্যাপ্ত বিকল্প না থাকাতেই যত শঙ্কা।
যদিও ঈদের পর ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। জাতীয় দল ও হাই পারফরম্যান্সের (এইচপি) কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য ক্রিকাটারদের তালিকাও প্রস্তুত করে রেখেছে নির্বাচকরা। অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে একই পরিকল্পনা গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হলেই আগস্টের মাঝামাঝিতেই পুরোদমে অনুশীলন শুরু করার ভাবনা বোর্ডের।
অন্যান্য দেশের সাথে নিজেদের অবস্থা তুলনা করতে নারাজ বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। আজ (২১ জুলাই) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। অনেকেই বলছে ক্রিকেট বোর্ড কিছু করতে পারছেনা। আসলে এখানে কিছু করার নাই কারণ শুরু থেকেই আমরা বলে আসছি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। আমরা কোন ঝুঁকি নিতে চাইনা। অন্য দেশের কিন্তু ভালো বিকল্প আছে, তাদের ভালো ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি। আমাদের কম বলেই কোন ঝুঁকি নিবনা।’
ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েকজন ক্রিকেটারকে অনুশীলনের সুযোগ করে দিয়েছে বিসিবি। তবে ঈদের পর পুরোদমে শুরু করার ভাবনা বিসিবির। জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফরাও প্রস্তুত, কেবল অপেক্ষা সবুজ সংকেতের। এ প্রসঙ্গে আকরাম খান বলেন, ‘ঈদের পর যদি পরিস্থিতি ভালো হয় সবাইকে নিয়ে আমরা ট্রেনিং করবো ইন শা আল্লাহ। আপনারা জানেন যে কোচ, ফিজিও, ট্রেনার সবাই প্রস্তুত আছে, আমরা বললেই তারা চলে আসবে।’
‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিটা একটু ভালো হলেই আমরা ট্রেনিংয়ে নেমে যাব। ইতোমধ্যে অনেক খেলোয়াড়ই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছে। এদিকে আমরা খুবই মনযোগ দিচ্ছি যেন দ্রুত তাদের ফিটনেস টা ঠিক করা যায় এবং ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করা যায়।’