

শ্রাবণের শুরুতেই এবার ঝুম বৃষ্টি নেমেছে, করোনায় বিধ্বস্ত জনমনে হয়তো এক পশলা স্বস্তিও। এমনিতে আকাশ ভেঙে নামা বৃষ্টি, খোলা আকাশ আর সবুজ ঘাস একজন গম্ভীর মানুষকেও অশান্ত করতে যথেষ্ট। আর এমন পরিস্থিতিকে অনুশীলনরত ক্রিকেটাররাতো দু হাত ভরে নেন। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টি মুখর দিনে টাইগার ক্রিকেটারদের ঘাসে গড়াগড়ি খাওয়ার দৃশ্য নিয়মিতই।
চলতি বছরের এই সময়টায়ও হয়তো কোন সিরিজ সামনে রেখে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। কিন্তু করোনা ভাইরাস থাবায় সবশেষ চার মাস গৃহবন্দী সময়ই কাটাতে হয়েছ ক্রিকেটারদের। সম্প্রতি খোলস ছেড়ে বের হচ্ছেন অনেকেই। নিজ উদ্যোগে ফিটনেসের সাথে স্কিল নিয়েও করছেন কাজ।
দিন দুয়েক আগে থেকে বিসিবির অনুমতি সাপেক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবেও অনুশীলন শুরু করেন মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, ইমরুল কায়েসরা। প্রাথমিকভাবে গত ১৯ জুলাই থেকে চার আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে ৯ জন ক্রিকেটার ও পরবর্তীতে আরও তিন ক্রিকেটারকে সূচি তৈরি করে দেয় বিসিবি।
কিন্তু প্রথমদিন থেকেই শ্রাবণ ধারায় সূচি বিপর্যস্ত হওয়ার উপক্রম। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যাওয়ার মত অবস্থায়ই ছিলনা অফ স্পিনার নাইম হাসানের। দ্বিতীয় দিন ঢাকায় ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন মাঠে এসেও রানিং করতে পারেননি। ইনডোরে ব্যাটিং আর জিম সেরেই বাসায় ফিরতে হয়েছিল।
আজ তৃতীয় দিন সকালে বৃষ্টি না থাকলেও আকাশ জুড়ে ছিল মেঘেদের উড়াউড়ি। শফিউল ইসলাম নির্ধারিত সময়ে একাডেমি মাঠে রানিং শেষে বাসায়ও ফিরে যান। কিন্তু মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস ও সূচি অনুসারে প্রথমবার রানিং করতে আসা মেহেদী হাসান রানাকে ছুঁয়ে যায় বাদলা দিনে বৃষ্টির ফোঁটা। যা বিরক্ত নয় বরং উপভোগ্য হয়ে আসে তাদের কাছে। তারা তো দু হাত প্রসারিত করে প্রকৃতিকে যেন ধন্যবাদই জানালেন।
ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন শেষে শের-ই-বাংলার সবুজ গালিচায় বেশ কিছুক্ষণ রানিং করে ফিরে যান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। পরে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেওয়া পোস্টেও জানিয়েছেন বৃষ্টি কোন অজুহাত হতে পারেনা। রানিংয়ের একটি ভিডিও সম্বলিত পোস্টে মুশফিক লিখেন,
‘আসসালামু আলাইকুম… বৃষ্টি! কোন অজুহাত নয়। প্রস্তুত হোন আর দৌড়ান।’
ঈদের আগের পর্বে অনুমতি পাওয়া ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত অনুশীলনের সুযোগ পাবেন ৭ দিন। একদিন বিরতিসহ সবার জন্যই তৈরি করা হয়েছে আলাদা আলাদা সূচি। যেখানে একই সাথে দুইজন ক্রিকেটার এক জায়গায় একত্রিত হওয়ার সুযোগ নেই। ঢাকায় মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, মেহেদী হাসান রানা, তাসকিন আহমেদরা পাচ্ছেন অনুশীলনের সুযোগ।
তাসকিন ছাড়া বাকিরা ইতোমধ্যে করেছেন রানিং, ফিটনেস ও স্কিলের কাজ। ২৩ জুলাই রানিং করবেন তাসকিনও। এছাড়া সিলেটে সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাসুম আহমেদ, খুলনায় নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শেখ মেহেদী হাসান এবং চট্টগ্রামে নাইম হাসান পেয়েছেন অনুশীলনের অনুমতি।
ছবি কৃতজ্ঞতা- বিসিবি