

ইতিহাস গড়ে আকবর আলিদের যুব বিশ্বকাপ জয়ের প্রায় ৬ মাস পেরিয়ে গেছে। পরবর্তী যুব বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে ২০২২ সালে। তবে করোনা পরিস্থির কারণে যুব বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরির প্রক্রিয়াও থমকে গেছে বিসিবির। যদিও এই সময়ে সবধরণের ক্রিকেটই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে ক্রিকেট, নতুন যুবাদের বেছে নিতে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ।
আজ (১৫ জুলাই) গণমাধ্যমের দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন জানান তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর বিকেএসপিতে ক্যাম্প করাতে চায় তারা। চার সপ্তাহের এই ক্যাম্প থেকে পরবর্তী যুব বিশ্বকাপ লক্ষ্য করে বাছাই করা হবে ক্রিকেটারদের।
এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘যুব বিশ্বকাপের আর ১৬ মাস বাকি আছে। ওটাকে মাথায় রেখেই অনেকগুলো কাজে পিছিয়ে গেছি আমরা। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে এগোনো যায় নতুন কিছু সংযোজন করা যায় কিনা সেসব নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে আমাদের।’
‘নির্দিষ্ট সময় বলাতো এই মুহূর্তে বোকামি। তবুও একটি সময় মাথায় নিয়েতো এগোতে হয়। আমরা চিন্তা করছি আগস্টের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে যদি কোয়ারেন্টাইন করতে পারি অনূর্ধ্ব-১৯ ছেলেদের। তাহলে বিকেএসপিতে ক্যাম্প করার চিন্তা করছি। আমরা ওখানে কোয়ারেন্টাইন করে আগস্টে শেষ দিকে ক্যাম্প শুরু করতে পারি।’
ক্যাম্পজুড়ে নির্বাচকদের কড়া নজরদারি থাকবে উল্লেখ করে সুজন যোগ করেন, ‘চার সপ্তাহের ক্যাম্প হবে। যেখানে আমাদের নির্বাচকরা যাবে, সবাই থাকবে সেখানে। যেহেতু আমাদের এবার ওয়ানডে টুর্নামেন্টটা হয়নি তাই আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ এর দল নির্বাচনটা হয়নি। আমরা এই ক্যাম্পের মাধ্যমেই দল নির্বাচন করে ফেলবো। এই ক্যাম্প থেকেই খেলোয়াড় বের করে আনার পরিকল্পনা আমাদের।’
এদিকে সরকারি ও বিসিবির অনুমতি সাপেক্ষে সব স্বাভাবিক হলে একই সময়ে স্কুল ক্রিকেট নিয়েও পরিকল্পনা করছে গেম ডেভেলপমেন্ট। খালেদ মাহমুদ জানান, ‘আমাদের আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। যদি সব ঠিক হয়ে যায়, সরকারি ও বিসিবির অনুমতি মিলে। আমরা স্কুল ক্রিকেটকেও যোগ করতে চাই। জোনাল চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে একটি লংগার ভার্সন টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাই।’