

ইতিহাস গড়ে যুব বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ যুবদলের ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে করোনা ভাইরাস প্রভাবে বিশ্বজুড়ে খেলাধুলা স্থগিতের পাশাপাশি বাধাগ্রস্ত হয় সেসব পরিকল্পনাও। সবকিছু ঠিক থাকলে এই সময়টায় ইংল্যান্ডে অনুশীলন ক্যাম্পে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল আকবর আলি, রাকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলামদের। চলতি বছর পরিকল্পনামত কাজ করা সম্ভব না হলেও আগামী বছরকে লক্ষ্য করে এগোচ্ছে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ।
গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় আজ (১৫ জুলাই) গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন এসব কথা জানান। ইংলিশ কাউন্টি দলগুলোর সাথে কথা বার্তা অনেকটা এগিয়ে নিয়েও থামতে হয়েছে করোনার কারণে, একটা প্রাথমিক বাজেটও তৈরি করা হয়েছিল। তবে যুব দলের ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে ইংলিশ কন্ডিশনে ট্রেনিং ও ম্যাচ খেলানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে না তারা।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘অনেক ভালো কিছু করতে চাই। অনেক ভালো প্ল্যান ছিল। আমরা ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি ইংল্যান্ডে বড় কোন ক্যাম্প করতে পারি কিনা। কিন্তু এখন তো এই সময়টা আমরা মিস করছি এই বছরটা। জুলাই প্রায় শেষ, এরপর সেপ্টেম্বর অক্টোবরে আপনি সেই কন্ডিশনটা পাবেন না যেটা আমরা চাই। আমরা অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছিলাম, বাজেটও নির্ধারণ হয়েছে একটা। কিন্তু এখন তো এ বছর সেটা সম্ভব না। তবে আগামী বছর নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা সাজাচ্ছি।’
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী বছর দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ফাঁকা মৌসুমে বিদেশের মাটিতে ট্রেনিং করবে বিশ্বকাপ জয়ী যুবারা।
সুজন যোগ করেন, ‘আমরা এখন থেকেই পরিকল্পনা করে রাখছি যে আগামী জুন জুলাইয়ের দিকে যদি ৬০ দিনের একটা ক্যাম্প করতে পারি ওখানে। কোন একটা কাউন্টির অধীনে করার ইচ্ছে আমাদের। মূলত ক্যাম্পই লক্ষ্য, তবে ফাঁকে ফাঁকে ম্যাচ খেলারও পরিকল্পনা আছে।’
ক্রিকেটারদের ট্রেনিং করানোর লক্ষ্যে কিছু ভালো মানের কোচদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে ক্যাম্পে। গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্কিলটা উন্নতি করার জন্যই ট্রেনিং নিয়ে ভাবনা। ওখানে আমরা বিশেষজ্ঞ কিছু কোচকে আমন্ত্রণ জানাতে পারি। বড় বড় কোচ যারা আছে তারা। ওরকম কন্ডিশনে যদি ছেলেরা ট্রেনিং করে আমার মনে হয় ভালোই উন্নতি হবে।’
‘কারণ আপনি দেখেন অফ সিজনে বাংলাদেশে কিন্তু ইনডোর ট্রেনিং ছাড়া কিছুই করতে পারিনা আমরা। আর এই সময়টাতেই তাদের যদি ট্রেনিং করানো ও ম্যাচ খেলার একটা পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের।’