

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস প্রভাবে সবচেয়ে বেশি গৃহবন্দী সময় কাটাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সবকিছুই ধীরে ধীরে সচল হতে শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে এখনই ঝুঁকি নিতে চায়না দেশগুলো। আর এই গৃহবন্দী সময়ে মানসিক অবসাদ ভর করা এক অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষার্থীকে সাহায্য করলেন অজি ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ। অ্যালেক্স আলটুব নামের সেকেন্ড গ্রেডের এক শিক্ষার্থী ফিঞ্চের পরামর্শমতে রুটিন কাজের ফাঁকে তৈরি করেছেন দারুণ এক ক্রিকেট ম্যাগাজিন।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে করোনা ভাইরাস প্রভাব শুরুর সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলগুলো। খেলাধুলার বাইরে থেকে বাসায় বসে পড়াশোনা করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠে শিক্ষার্থীদের জন্য। করোনা প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ায় ৭ লাখের বেশি ছেলে মেয়ে স্কুলে যেতে পারছেনা। দেশটিতে এখনো পর্যন্ত ৯ হাজারের অধিক করোনা পজিটিভ প্রমাণিত হয়, মারা গেছে ১০০ এর বেশি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট মতে ক্রিকেট ভক্ত অ্যালেক্স আলটুব এমন কঠিন সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের অধিনায়ক সাহায্য করেছেন। মানসিকভাবে চাঙ্গা ও ব্যস্ত রাখার উদ্দেশ্যে তার শিক্ষকের মাধ্যমে অ্যারন ফিঞ্চ বার্তা পাঠান সে যেন একটি ক্রিকেট ম্যাগাজিত প্রস্তুত করে, যেখানে ক্রিকেটের নানা নিয়ম কানুন ও ফিল্ডিং পজিশনের উল্লেখ থাকবে। আর সেটিই দারুণভাবে উপভোগ করেছেন অ্যালেক্স আলটুব।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘মেলবোর্ন ইস্টের ব্ল্যাকবার্ন লেক প্রাইমারি স্কুলের সেকেন্ড গ্রেডের একজন শিক্ষার্থীর জন্য সূর থেকে শিক্ষা নেওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জিং ছিল। অন্তত অ্যারন ফিঞ্চের সাহায্য করার পদক্ষেপ নেওয়ার আগ পর্যন্ত।’
অস্ট্রেলিয়ান সীমিত ওভারের অধিনায়ক অ্যালেক্সের শিক্ষক ক্যাথরিন টেলরের মাধ্যমে একটি বার্তা পাঠায়। যেখানে তাকে একটি বিশেষ প্রকল্প শেষ করতে বলা হয়। ফিল্ডিং পজিশন ও ক্রিকেট খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কিত বিশদ ব্যাখ্যা সহ ম্যাগাজিন প্রস্তুত করতে বলেন ফিঞ্চ।
শিক্ষক ক্যাথরিন টেলর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ফলাফল ছিল এখনো পর্যন্ত তার (অ্যালেক্স) সেরা একটি কাজ। অ্যারন ফিঞ্চ তাকে বার্তা পাঠিয়েছে এটা দেখেই সে আনন্দে উড়তে থাকার মত অবস্থা। আসলে লম্বা সময় বাসায় থেকে সেও বিরক্ত হয় পড়েছিল। তার স্বাভাবিক খেলাধুলাও করতে পারছিলনা। অবশ্যই তার এমন কাজে বাড়ির লোক বেশ সমর্থন দিয়েছিল তবে সে দারুণ কাজ করেছে বলতে হয়।
‘সে ক্রিকেটের অনেক বড় ভক্ত, সে ক্রিকেট ভালোবাসে। সে পুরো কাজ লাঞ্চ ও অন্যান বিরতির সময় করেছে। তারা (পরিবার) এসব নিয়ে কথা বলতো। সে একজন বড় ভক্ত আর সে পুরো কাজটাই উপভোগ করেছে তার রুটিন কাজের ফাঁকে ফাঁকে।’