

অবশেষে করোনা মুক্ত হলেন বাংলাদেশের অন্যতম সফল অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা। সম্প্রতি রাজধানীর শিশু হাসপাতালে করানো তৃতীয় দফা টেস্টে নেগেটিভ হয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। মাশরাফির মত নেগেটিভ প্রমাণিত হয়েছেন তার ছোট ভাই মোরসালিন বিন মর্তুজাও। তবে মুক্তি মেলেনি মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমির।
গত ২০ জুন করোনা শনাক্ত হয় দেশের অন্যতম সেরা এই পেসারের। এরপর ঢাকায় নিজ বাসায় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে করোনা মুক্তির লড়াই শুরু করেন মাশরাফি। ৩০ জুন দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করেও অবশ্য ইতিবাচক ফল মেলেনি। গত রোববার (১২ জুলাই) তৃতীয় দফায় পরিবারের বাকিদের নিয়ে করোনা টেস্ট করান সফল এই টাইগার কাপ্তান। আজ (১৪ জুলাই) অবশ্য ভক্ত সমর্থকদের জন্য ভালো খবরই দিলেন মাশরাফি।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেওয়া পোস্টে মাশরাফি লিখেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের সবার দোয়ায় আমার কনোরাভাইরাস পরীক্ষার ফল এসেছে নেগেটিভ। আজকে রাতেই ফল জানতে পেরেছি। এই পুরো সময়টায় যারা পাশে ছিলেন, দোয়া করেছেন, অনেকে উদ্বিগ্ন ছিলেন ও নানা ভাবে খোঁজ নিয়েছেন বা নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
‘শনাক্ত হওয়ার পর দুই সপ্তাহের বেশি পেরিয়ে গেলেও আমার স্ত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল এখনও পজিটিভ। তবে সবার দোয়ায় সে ভালো আছে। তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি। বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়েই আমি সেরে উঠেছি। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, সবাই সাহস রাখবেন। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখবেন। নিয়ম মেনে চলবেন। সবাই নিরাপদে থাকবেন, ভালো থাকবেন। একসঙ্গে থেকে করোনাভাইরাসের সঙ্গে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ সবার সহায় হোন।’
মাশরাফির করোনা পজিটিভ হওয়ার দিন দুয়েক পরেই নড়াইলে বাবা-মা ও মাশরাফির দুই সন্তানকে নিয়ে করোনা টেস্ট করানো হয় মোরসালিনের। বাবা-মা ও ভাতিজা-ভাতিজি করোনা নেগেটিভ হলেও পজিটিভ প্রমাণিত হন মোরসালিন। আজ নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে মোরসালিন নিশ্চিত করেছেন তিনিও করোনামুক্ত।
অন্যদিকে স্বামীর সেবা করতে ঢাকায় থেকে যান মাশরাফি পত্নী সুমনা হক। তার পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা তাই বেশিই ছিল। করোনা টেস্টের পর গত ৬ জুলাই তিনিও এই মহামারী ভাইরাসে পজিটিভ প্রমাণিত হন।