

সাউদাম্পটনের এজেস বোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ইংল্যান্ড টেস্ট দিয়ে করোনা পরবর্তী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ঘটে। যে ম্যাচটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য নানা দিক থেকেই কঠিন চ্যালেঞ্জের ছিল। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ, বেশ কিছু পরিবর্তিত নিয়ম কানুনের সাথে অভ্যস্ত হওয়া ছাড়াও বিশ্বজুড়ে চলা বর্ণ বৈষ্যমের প্রতিবাদে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরা। যার সবকটিতেই লেটার মার্ক নিয়ে পাশ করেছে জেসন হোল্ডারের দল। পঞ্চম দিনের শেষ বিকেলে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা।
তবে তার আগে বল হাতে ভীতটা শক্ত করে দেন বোলাররা, বিশেষ করে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের কথা বলতে হবে আলাদা করেই। ইনিংসে ৫ উইকেটসহ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতা এই পেসার আলাদা করেই প্রশংসা কুড়িয়েছে অধিনায়কের। প্রশংসা যে তার সত্যিকার অর্থেই প্রাপ্য, ১০ মাস পর দলে ফিরেছেন। তাও দলে অন্তর্ভূক্ত হন একদম শেষ মুহূর্তে। অথচ চোট জয় করে লম্বা বিরতির পর ফিরে এসেই এমন দুর্দান্ত পারফর্মই করলেন।
View this post on Instagram
How impressed were you with his performance? 9 wickets, 5 of them bowled! 🔥 #ENGvWI #RaiseTheBat
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার তাকে বিশাল হৃদয়ের অধিকারী বলেও আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘শ্যানন এই ম্যাচে যা করেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যারা নিয়মিত এমনটি করে যাচ্ছে সে তাদেরই একজন। সে বিশাল হৃদয়ের অধিকারী। সে অনেক পথ পেরিয়ে এসেছে, সাফল্যের ক্ষুধা তাকে তাড়া করে।’
৩২ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল ৪৬ টেস্টে শিকার করেছেন ১৪২ উইকেট। তার লড়াকু মানসিকতাই অন্যদের চেয়ে তাকে আলাদা করে। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক গ্যাব্রিয়েল সম্পর্কে আরও বলেন, ‘তার শরীর সে ঠিক যেভাবে চাচ্ছিল সেভাবে সায় দেয়নি। তার ফিরে আসা, দৌড় শুরু করা ও দ্রুত গতিতে বল করতে দেখাটা সবসময়ই আনন্দের। এই ম্যাচে সে যে সাফল্য পেয়েছে তার সবটুকুই তার প্রাপ্য।’
‘আমি জানি তাকে কীসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সময়টায় আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করতাম। যেভাবে সবকিছু যাচ্ছিল মাঝে মাঝে সে হতাশ হয়ে পড়তো কিন্তু মনোবল হারায়নি। ত্রিনিদাদে সে একটি ভালো দলের সাথে ছিল যারা তাকে নিয়ে অনেক কাজ করেছে। আমরা সবাই জানি একজন ফিট ও সুস্থ শ্যানন কতটা কঠিন হতে পারে, আর সে এটি প্রমাণ করেছে।’