

করোনা ভাইরাস প্রভাবে লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হচ্ছে টাইগার ক্রিকেটারদের। গৃহবন্দী সময়ে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন। ইতোমধ্যে ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন অনেকেই, নিজ উদ্যোগে শুরু করেছেন স্কিল ট্রেনিংও। বেশিরভাগেরই মত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিটনেস লেভেল আগের অবস্থায় পৌঁছাতে বেশিদিন সময় না লাগলেও স্কিল নিয়ে ভুগতে হবে। কিন্তু এ জায়গায় পিছিয়ে করোনাকালে নিজেকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত করা নাজমুল ইসলাম অপু।
করোনার সময়টাতে শুরু থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিজে হাজির থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজ এলাকার মানুষদের পৌঁছে দিয়েছেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও অন্যনা দিক থেকে তহবিল সংগ্রহ করে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১ হাজার পরিবারের আহারের ব্যবস্থা করেছেন। সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে গিয়ে অন্যদের মত ফিটনেস ট্রেনিংটাও করতে পারেননি ঠিকঠাক।
উপরন্তু নরসিংদীতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে করোনা পজিটিভ প্রমাণিতও হন। দিন কয়েক আগে পরিবারের বাকিদের নিয়ে করোনা জয় করেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ধীরে ধীরে মনযোগ দিতে শুরু করেছেন ক্রিকেটে। ফিটনেসের সাথে স্কিল নিয়েও কাজ শুরু করেছেন ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে। সঙ্গী হিসেবে আছেন নারায়নগঞ্জেরই ক্রিকেটার রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ শহীদ।
২৮ বছর বয়সী এই বাঁহাতি অর্থোডক্স বলছেন তার লড়াইটা ফিটনেস ও স্কিল দুটো নিয়েই। ‘ক্রিকেট৯৭’ কে অপু বলেন, ‘সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার সময়টাতেও আমি ফিটনেস নিয়ে কিছুটা কাজ করেছি। কিন্তু অন্যদের মত খুব বেশি সময় দিতে পারিনি। সামান্য রানিং, কিছু ফ্রি হ্যান্ড ট্রেনিং করেছিলাম। তবে ওসব পর্যাপ্ত ছিলনা।’
করোনা পজিটিভ হওয়ার পর নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ায় শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি। অপু যোগ করেন, ‘এরপর করোনা পজিটিভ হওয়ার পর বেশ কিছুদিন সবকিছু থেকে দূরে ছিলাম। অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হয়েছে, নানা নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়েছে। ঐ সময়টাতেও ফিটনেসে কিছুটা ঘাটতি হয়েছে। আমার ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগবে। সবকিছু নতুন করে শুরু করতে হবে।’
‘করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর আবার সবকিছু শুরু করেছি। রানিং করছি নিয়মিত, ফিটনেস নিয়ে বাসায় যেসব কাজ করা যায় সেসবও করছি। দুই-তিন ধরে আমি, রনি (রনি তালুকদার), শহীদ (মোহাম্মদ শহীদ) যারা আছি নারায়ণগঞ্জের তারা ফতুল্লায় হালকা নক করা শুরু করেছি। আগামী সপ্তাহ থেকে স্টক বোলিংটা শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।’